প্রেরণা সিরিজ - ৮২,PRERANA SERIES-82(Motivational
& Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
আমার ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন
ভবিষ্যৎকে আধার করে সবাই আজকে নির্ণয় করতে চায়, ভবিষ্যৎএ সুখ লাভ হবে, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে , এমন নির্ণয় আজ করার প্রয়াস করতে থাকে সবাই। আপনি নিজের জীবনেই দেখুন, আপনার অধিকতর নির্ণয়ের মুলে ভবিষ্যতের চিন্তা থাকে না? আর কেনই বা হবে না ? নিজের জীবনকে সহজ ও সুখময় বানিয়ে তোলার প্রচেষ্টা করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ তো কেউ জানে না। কেবল কল্পনাই করা যেতে পারে। অর্থাৎ জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয় কল্পনার উপর ভিত্তি করেই আমরা নিয়ে থাকি। এই নির্ণয় করার অন্য কোনো পথ হতে পারে? সমস্ত সুখের আধার ধৰ্ম। আর সেই ধৰ্ম মানুষের হৃদয়ে স্থাপিত। অতএব প্রত্যেক নির্ণয়ের পূর্বে স্বয়ং নিজের হৃদয়কে প্রশ্ন অবশ্যই করে নিন। এই নির্ণয় স্বার্থ থেকে জন্মেছে না ধৰ্ম থেকে? ভবিষ্যতের বদলে ধর্মের বিচার করলে ভবিষ্যৎ কি অধিক সুখময় হয়ে উঠবে না? মানুষ যখন তার অপরাধের দন্ড ভোগ করে তখন হতে পারে সেই ন্যায় বিচারে তার কষ্ট হয় , প্রশ্ন ওঠে তার হৃদয়ে, যে যখন সে অপরাধ করেছিলো তখন সে ভিন্ন ব্যক্তি ছিলো তারপর সে অনেক অনেক অনুতাপ করেছে , তবু সে দন্ড কেন পাবে? কিন্তু যেখানে আঘাত আছে সেখানে প্রত্যাঘাতও থাকবে। যেমন কর্ম তেমন ফল। যদি কাউকে স্নেহ দাও তবে সুখলাভ হবে , যদি কাউকে হত্যা করো তবে মৃত্যুদন্ড পাবে । যেমন কার্য্য তেমনি ন্যায় হয়। তবে কি প্রায়শ্চিত্ত বা অনুতাপের কোনো মূল্য নেই ? আছে , অবশ্যই আছে। প্রায়শ্চিত্ত , অনুতাপ মানুষকে অন্তর থেকে বলবান করে থাকে। আসন্ন শাস্তিকে গ্রহণ করার জন্য মানুষকে প্রস্তুত করে। অর্থাৎ প্রায়শ্চিত্ত না করে দন্ড শিকার করার কোনো মূল্য আছে ?
জীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে, তাই তোমার সেরাটা তাকে দাও । হাজারটা নয়, তুমি যা করতে চাও তার জন্য একটি বড় কারণ খোঁজো , সেটাই যথেষ্ট। যার যত সচেতনতা বেশি, তার সম্ভাবনাও তত বেশিই বৃহত্তর। যেই কর্ম তোমাকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে তা হল একটা ভালো কর্ম। কিন্তু যেই কর্ম তোমাকে ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে সেটা একটা খারাপ কর্ম । যা কিছুই করো উদ্যমের সাথে করো, নাহলে করোনা। যা মন করে সেটাই খুলে করো কারণ এই দিনটা আর দ্বিতীয়বার আসবেনা। যদি কোনো বোরিং জায়গায় তোমাদের মনকে তোমরা একাগ্র করতে সক্ষম হও , তাহলে ইন্টারেস্টিং জায়গা তো শুধু একটা খেলার সমান হয়ে যাবে। সর্বদা মনে রেখো, যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়। আমার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা মাত্র একটাই, শেয়ার করো, মন থকে শেয়ার করো আর সবার সাথে শেয়ার করো।কোনো কাজে যদি তুমি নিজের ১০০% দাও , তাহলে তুমি সাফল্য পাবেই। অর্থ ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা গাড়িতে পেট্রোল । না কম না বেশি। ভালো বলো, ভালো শোনো আর ভালো দেখো। ব্যর্থতা এটাই প্রমান করে যে, তুমি চেষ্টা করছো । যদি তুমি মহান হতে চাও , তাহলে বারবার অনুমতি নেওয়া বন্ধ করো । তুমি দুনিয়াকে যেমন নজরে দেখবে, তেমনটাই তুমি হয়ে যাবে।
পরম্পরার মধ্যে ধর্মের অবস্থান , আর প্রথাই ধর্মকে ধরে রাখার শক্তি অর্জন করে , এটা সত্যই কিন্তু কেবল প্রথাকেই কি ধর্ম বলে? সত্যতো এই যে যেমন করে পাষানের মধ্য শিল্প থাকে তেমনি প্রথার মধ্যেও ধর্মকে পাওয়া যায়। পাথরের মধ্যে শিল্প আছে কিন্তু পাথরটাই শিল্প নয়। শিল্প ফুটিয়ে তোলার জন্য পাথরকে ভাঙতে হয় , অনাবশ্যক অংশগুলিকে কেটে বাদ দিতে হয় , ঠিক সেইভাবেই প্রথার মধ্যে ধর্মকে খুঁজে বার করতে হয়। যেমন ইন্দ্র পূজার ধর্ম ত্যাগ করে যদি গোবর্ধন পূজার প্রথা আরম্ভ না হতো তাহলে যাদবেরা তাদের মুক্তির পথ খুঁজে পেত না। অর্থাৎ প্রথা পালনে যে বেশি গোড়ামি করে সে ধৰ্ম পালন থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়, আর পরম্পরার অন্ধ অনুকরণ যে করে সেও প্রকৃত ধৰ্ম পরায়ণ হতে পারে না। কথায় আছে হাঁস সর্বদা নীর খির পার্থক্য করতে পারে , দুধে জল মেশানো থাকলেও সে দুধটুকুই গ্রহণ করতে পার। তবে কি যথার্থ ধৰ্ম জ্ঞান পেতে হলে হৃদয়ে জ্ঞান থেকে প্রসূত বিবেক থাকা আবশ্যক নয় ?আর সেই বিবেক না থাকলে ,যাকে আমরা ধর্ম বলে মনে করছি তা আসলে প্রকৃত ধর্মই নয়।
ভবিষ্যৎকে আধার করে সবাই আজকে নির্ণয় করতে চায়, ভবিষ্যৎএ সুখ লাভ হবে, ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে , এমন নির্ণয় আজ করার প্রয়াস করতে থাকে সবাই। আপনি নিজের জীবনেই দেখুন, আপনার অধিকতর নির্ণয়ের মুলে ভবিষ্যতের চিন্তা থাকে না? আর কেনই বা হবে না ? নিজের জীবনকে সহজ ও সুখময় বানিয়ে তোলার প্রচেষ্টা করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ তো কেউ জানে না। কেবল কল্পনাই করা যেতে পারে। অর্থাৎ জীবনের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্ণয় কল্পনার উপর ভিত্তি করেই আমরা নিয়ে থাকি। এই নির্ণয় করার অন্য কোনো পথ হতে পারে? সমস্ত সুখের আধার ধৰ্ম। আর সেই ধৰ্ম মানুষের হৃদয়ে স্থাপিত। অতএব প্রত্যেক নির্ণয়ের পূর্বে স্বয়ং নিজের হৃদয়কে প্রশ্ন অবশ্যই করে নিন। এই নির্ণয় স্বার্থ থেকে জন্মেছে না ধৰ্ম থেকে? ভবিষ্যতের বদলে ধর্মের বিচার করলে ভবিষ্যৎ কি অধিক সুখময় হয়ে উঠবে না? মানুষ যখন তার অপরাধের দন্ড ভোগ করে তখন হতে পারে সেই ন্যায় বিচারে তার কষ্ট হয় , প্রশ্ন ওঠে তার হৃদয়ে, যে যখন সে অপরাধ করেছিলো তখন সে ভিন্ন ব্যক্তি ছিলো তারপর সে অনেক অনেক অনুতাপ করেছে , তবু সে দন্ড কেন পাবে? কিন্তু যেখানে আঘাত আছে সেখানে প্রত্যাঘাতও থাকবে। যেমন কর্ম তেমন ফল। যদি কাউকে স্নেহ দাও তবে সুখলাভ হবে , যদি কাউকে হত্যা করো তবে মৃত্যুদন্ড পাবে । যেমন কার্য্য তেমনি ন্যায় হয়। তবে কি প্রায়শ্চিত্ত বা অনুতাপের কোনো মূল্য নেই ? আছে , অবশ্যই আছে। প্রায়শ্চিত্ত , অনুতাপ মানুষকে অন্তর থেকে বলবান করে থাকে। আসন্ন শাস্তিকে গ্রহণ করার জন্য মানুষকে প্রস্তুত করে। অর্থাৎ প্রায়শ্চিত্ত না করে দন্ড শিকার করার কোনো মূল্য আছে ?
জীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে, তাই তোমার সেরাটা তাকে দাও । হাজারটা নয়, তুমি যা করতে চাও তার জন্য একটি বড় কারণ খোঁজো , সেটাই যথেষ্ট। যার যত সচেতনতা বেশি, তার সম্ভাবনাও তত বেশিই বৃহত্তর। যেই কর্ম তোমাকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে তা হল একটা ভালো কর্ম। কিন্তু যেই কর্ম তোমাকে ভিতর থেকে দুর্বল করে তোলে সেটা একটা খারাপ কর্ম । যা কিছুই করো উদ্যমের সাথে করো, নাহলে করোনা। যা মন করে সেটাই খুলে করো কারণ এই দিনটা আর দ্বিতীয়বার আসবেনা। যদি কোনো বোরিং জায়গায় তোমাদের মনকে তোমরা একাগ্র করতে সক্ষম হও , তাহলে ইন্টারেস্টিং জায়গা তো শুধু একটা খেলার সমান হয়ে যাবে। সর্বদা মনে রেখো, যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়। আমার কাছে সাফল্যের সংজ্ঞা মাত্র একটাই, শেয়ার করো, মন থকে শেয়ার করো আর সবার সাথে শেয়ার করো।কোনো কাজে যদি তুমি নিজের ১০০% দাও , তাহলে তুমি সাফল্য পাবেই। অর্থ ততটুকুই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা গাড়িতে পেট্রোল । না কম না বেশি। ভালো বলো, ভালো শোনো আর ভালো দেখো। ব্যর্থতা এটাই প্রমান করে যে, তুমি চেষ্টা করছো । যদি তুমি মহান হতে চাও , তাহলে বারবার অনুমতি নেওয়া বন্ধ করো । তুমি দুনিয়াকে যেমন নজরে দেখবে, তেমনটাই তুমি হয়ে যাবে।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন।
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment