সংস্কার আর শিক্ষা থেকে তৈরি হয় মানুষের চরিত্র। অর্থাৎ মাতা-পিতা যেমন তার সন্তানদের চরিত্র নির্মাণ করেন তেমনই হয় তার ভবিষ্যৎ।প্রেরণা সিরিজ - ১২৩,PRERANA
SERIES-123 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে
নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে
শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে
অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের
সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই
আছো আর সুস্থ আছো।
সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুখে ভরিয়ে তোলার চেষ্টা। এই তো প্রত্যেক মাতা-পিতার প্রথম কর্তব্য। যাদের আপনি এই সংসারে এনেছেন, যাদের কর্মের দ্বারা আপনারও পরিচয় পাবে ভবিষ্যতে। তাদের ভবিষ্যৎ সুখদায়ক করার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কিইবা হতে পারে? কিন্তু সুখ আর সুরক্ষা এসব কি মানুষের কর্ম থেকেই প্রাপ্ত হয় না? মাতা-পিতার দেয়া ভাল বা মন্দ সংস্কার বা তাদের সুরক্ষা এসব কি মানুষের কর্ম থেকেই প্রাপ্ত হয় না? মাতা-পিতার দেয়া ভাল বা মন্দ সংস্কার বা তাদের দেয়া যোগ্য অথবা অযোগ্য শিক্ষা এ সবই কি আজকের সমস্ত কর্মের মূল নয়? সংস্কার আর শিক্ষা থেকে তৈরি হয় মানুষের চরিত্র। অর্থাৎ মাতা-পিতা যেমন তার সন্তানদের চরিত্র নির্মাণ করেন তেমনই হয় তার ভবিষ্যৎ। কিন্তু তবুও অধিকতর মাতা-পিতা নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার চিন্তায় তাদের চরিত্র নির্মাণের কার্যের কথা ভুলেই জান। বস্তুত যে মাতাপিতা কেবল নিজের সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেন তার চরিত্রের নির্মাণ করেন সেই সন্তানের প্রশস্তি বিশ্বসংসার করে। স্বয়ং বিচার করুন।-(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)
সমাজে সর্বদাই স্ত্রী- লোকদের সাথে অন্যায় হয়। মানব সমাজ স্ত্রী- লোককে সর্বদা শোষণ, অন্যায় আর অপমান দিয়েছে। আপনারা নিজেদের আশেপাশে দেখুন, সমগ্র ইতিহাসকে দেখুন এই একই রূপ দেখা যাবে যে পুরুষের ঈর্শা, অহংকার, বৈরিতা, লালসা, এই সব কুচিন্তার পরিনাম স্ত্রী-লোকই ভোগ করে। যুদ্ধ পুরুষ করে আর পরাজিত নগরে স্ত্রী-লোকের সাথে বলাৎকার করা হয়। পুরুষ মদ্যপান ও দূতক্রীরায় নিজের সম্পত্তি হারায়, আর স্ত্রী- লোকদের ভাগ্যে নেমে আসে ক্ষুধা। পুরুষের অহংকার ক্ষুন্ন হয় আর স্ত্রী লোকের স্বাধীনতা ও সুখে বাঁধা উৎপন্ন হয়ে যায়। পুরুষ জীবনে পরাজিত হয়ে পরিবারকে ত্যাগ করে আর স্ত্রী নিজের সন্তানদের ক্ষুধা নিবারনের তারনে সংঘর্ষ করতে থাকে।
সমগ্র সংসারের দুঃখের হিসাব করুন স্পষ্ট দেখতে পাবেন যে পুরুষের তুলনায় স্ত্রী-লোক অধিকতর দুঃখ ভোগ করে। এ কোন প্রকারের সমাজ রচনা করেছি আমরা? যেখানে মনুষ্যজাতীর অর্ধেক ভাগ অপর অর্ধেক ভাগকে নিরন্তর পদদলিত করছে। আর সেই পদলিত স্ত্রী-লোক মানুষের ভবিষ্যতের জন্মদায়িনী? সৃষ্টিকে দেখুন- নতুন বৃক্ষকে জন্মদানকারী বীজের আসপাশে ঈশ্বর ফুলের পাপরী নির্মাণ করেছেন। তাকে রং ও সুগন্ধ দিয়ে ভরে দিয়েছেন। যেখানে ভবিষ্যতের জন্ম হয় সেখানে তো কেবল মাত্র সৌন্দর্য, কেবল সুখ সন্তোষ ও সম্মান হওয়া আবশ্যক নয় কি? কিন্তু সমাজ স্ত্রী- লোককে দুঃখ দিয়ে সমস্ত ভবিষ্যৎকে দুঃখ দ্বরা পূর্ণ করতে থাকে। প্রহার, শোষণ, পীরা এই সবে ঝলসে যাওয়া স্ত্রী- লোক স্বাস্থবান সুখী সন্তানের জন্ম কোন প্রকারে দেবে? অর্থাৎ যে যে সময় কোন স্ত্রী- লোকের অপমান হয়, কোন স্ত্রী-লোক এর উপর শোষণ হয়, কোন নারীর কেশ আকর্ষন করা হয় সেই সময় কোন না কোন রূপে এক যুদ্ধের জন্ম হয়। কোন না কোনভাবে মহাভারতের আরম্ভ হয়। স্বয়ং বিচার করুন। বারংবার বিচার করুন।। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)
সুখের কামনা যে করে তার সুখ লাভ হয় না, যে সুখ চিনতে পারে তারই সুখ লাভ হয়। তুমি যদি এটা জেনে যাও যে তোমার জন্য সুখ কি, তবে তুমি সুখ অবশ্যই পাবে। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)
যে কেবল নিজের পীরাকে আপন করে জীবন কাটায়, সে শক্তিহীন হয়ে পরে। কিন্তু যে ব্যাক্তি সমগ্র সমাজের পীরাকে আপন হৃদয়ে ধারণ করে জীবন কাটায়, সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।-(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)
সুখ তো উপলব্ধী করার বস্তু, প্রাপ্ত করার বস্তু নয়। যে ব্যাক্তি বস্তুকে সুখ বলে মানে বাস্তবে তার সুখ প্রাপ্ত হয় না। যে সত্তা অথবা সম্পত্তিকে সুখ বলে গন্য করে সে অবশ্যই নিজের জন্য বিনাশকে আমন্ত্রণ জানায়। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)
জীবনে
অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক
মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার
গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে
যেতে পারে ।
মোটিভেশনাল
ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির
উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই
পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু
Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি
অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
![]() |
No comments:
Post a Comment