Tuesday 31 March 2020

কর্ম যোগের অভ্যাসের ফলে কর্মের রহস্য জানা যাবে । [How to Improve Your Motivational Skill, Series-103(Prerana)]

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন,
প্রেরণা সিরিজ - ১০,PRERANA SERIES-103
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।  
দোষ গুণ সকলেরই আছে। সৎ অথবা অসৎ কর্ম যাই করা  হোক না কেন , তার ফলভোগ করতেই হবে। তবে অসৎ  কর্মের চেয়ে সৎ কর্ম করা  ভালো। কর্ম করতেই হবে, কর্মের পাশ কাটা খুবই কঠিন। নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকলে কি কর্মপাশ কাটব? তাই কর্তৃত্বাভিমান ত্যাগ করে কাজ করতে হবে। কর্মতেই বড় হয় আবার কর্মতেই ছোট হয় । কর্মের জন্য কেউ পূজা পাচ্ছে  তো কেউ গালি  খাচ্ছে। 'করমসে ' করম  কাটে। সৎ কর্ম করলে নিজেরও কল্যাণ আবার পরেরও কল্যাণ আর অসৎ কর্ম করলে নিজের এবং অপরের সকলেরই অকল্যাণ। তাই কর্ম করতে হয় যতক্ষণ  না পর্যন্ত কর্মপাশ কাটে। অসৎ কাজ করলে ভয় আসবে এবং তার জন্য দুঃখ পেতে হবে। সৎ কাজ করলে শান্তি পাওয়া যাবে আর তার জন্য নির্ভিক  হতে হবে। সৎ কাজ যত  হয় , ততই সুখের বিষয়।  সৎ কাজ করতে প্রথমে কষ্ট হয়, ভবিষ্যতে  আরাম হয়  আর অসৎ কাজ করতে প্রথমে আনন্দ হয়, ভবিষ্যতে দুঃখ হয়। 

যখনই অনুভব করি যে আমরা দেহের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই , তখনই রোগভোগাদির আধিপত্য থেকে আমরা মুক্ত হই। আমাদের আত্মসত্তাকে না জানার কারনই হলো বাসনা, কামনা ও পার্থিব বস্তুর প্রতি  প্রবল আকর্ষণ।  যখনই আমরা আমাদের শুদ্ধ সত্তাকে জানতে পারবো , তখনই আমরা মৃত্যুভয়কে অতিক্রম করতে পারবো, কারন মৃত্যু একটি দেহের পরিবর্তন মাত্র। কারো কারো কর্ম করার প্রবৃত্তি আছে।  কিন্তু কোনো বিষয়বস্তুর অবলম্বনে মন একাগ্র করতে পারে না। তারা বুদ্ধিবৃত্তির বিচার থেকে বঞ্চিত, সুতরাং তাদের হৃদয় পবিত্র করার জন্য নিষ্কাম কর্মের  সাধনায় রত হতে  হবে।  এই ভাবে কর্ম যোগের  অভ্যাসের ফলে কর্মের রহস্য জানা যাবে এবং ভ্রমন করা, বাজার করা বা গল্প করা --সবই উপাসনা বলে মনে হবে। 

কর্মের গতি খুবই দুর্বোধ্য। যাহাদের সকল কর্ম কামসংকল্প বর্জিত  এবং জ্ঞানাগ্নি দ্বারা সকল কর্ম দগ্ধ হইয়াছে  তাহাদের পণ্ডিত বলা হয়। যিনি কর্মফলে আসক্তি ত্যাগ করিয়াছেন , যিনি নিত্যতৃপ্ত  তিনি কর্ম করেন না। যাহার কোনো আশা নাই , যাহার চিত্ত সংযত , যিনি সকল প্রকার পরিগ্রহ ত্যাগ করিয়াছেন তিনি শরীর যাত্রা নির্বাহপযোগী কর্ম করিয়াও পাপ বন্ধনে আবদ্ধ হন না।  যিনি যদৃচ্ছাক্রমে প্রাপ্ত বস্তুতে সন্তুষ্ট , যিনি দ্বন্ধ্যাতীত  ও মাৎসর্য্যবিহীন , যাহার  সিদ্ধিতে ও অসিদ্ধিতে  সমজ্ঞান তিনিও কর্ম দ্বারা আবদ্ধ হন না। বেদান্তের আদর্শ হলো জীবনসমস্যার সমাধান করা , মানবজীবনে উদ্দেশ্য নির্দেশ করা , মানুষের জীবনযাপনকে উন্নত করা, আর যে বিশ্ব-ইচ্ছাশক্তি প্রকৃতির মধ্যে ক্রিয়াশীল রয়েছে , তার সাথে মানবজীবনকে অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। বেদান্ত আমাদের উপলব্ধি করে যে , যে ইচ্ছাশক্তি বর্তমানে আমাদের দেহের মধ্যে সক্রিয় আছে , তা বাস্তবিকপক্ষে  বিশ্ব - ইচ্ছাশক্তিরই অংশ মাত্রা।
ইমেজ ক্রেডিট : ফেসবুক 
অনেকে বলেন, নিষ্কাম কর্মে প্রণোদনা নেই, ইহা উদ্দেশ্য বিহীন। তাহা ঠিক নয়। কর্মেই সৃষ্টি, কর্মদ্বারাই সৃষ্টিরক্ষা, তাই প্রকৃতি সকলকেই কর্ম করান। জীবের কর্তব্য কর্মটিকে নিষ্কাম করে ভাগবত কর্মে পরিনত করা। ইহাই কর্মযোগ। কর্মী যদি স্বার্থান্বেষী হন, তবে জগতের দুঃখ মোচন হবে কিভাবে। তাই প্রহ্লাদ দুঃখ করে বলেছেন, ভাগবত (৭/৯/৪৪) —প্রায়েণ দেবমুনয়ঃ স্ববিমুক্তিকামা। মৌনং চরন্তি বিজনে ন পরার্থনিষ্ঠাঃ।'প্রায়ই দেখা যায়, মুনিরা নির্জনে মৌনাবলম্বন করিয়া তপস্যা করেন, তাঁহারা লোকের দিকে দৃষ্টি করেন না। তাঁহারা তো  পরার্থনিষ্ঠ নন, তাঁহারা নিজের মুক্তির জন্য ব্যস্ত, সুতরাং স্বার্থপর’। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ  কর্ম দ্বারাই গৌরব লাভ করেছিল, শিক্ষা সভ্যতায়, শিল্প সাহিত্যে, শৌর্য বীর্যে জগতে শীর্ষ স্হান অধিকার করেছিল। 

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা,তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায়তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন । এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

Monday 30 March 2020

জীবনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হতে যখন আমাদের মনোবল তলানীতে এসে ঠেকে,তখন মনের মধ্যে নতুন উদ্যম তৈরি হয় ।[How to Improve Your Motivational Skill, Series-102(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ১০২,PRERANA SERIES-102 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।


জীবনে চলার পথে কখনো কখনো আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি । মনে হয় আর এগোতে পারব না । তখন মানসিকভাবে দুর্বল মনে হয় নিজেদের । জীবনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হতে যখন আমাদের মনোবল তলানীতে এসে ঠেকে,  তখন আমাদের চলার পথের শেষ কথাটা মাথায় রাখতে হয় ।  তখন মনের মধ্যে নতুন উদ্যম তৈরি হয় এবং সেই উদ্যম নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়া যায় । আমরা মানুষ এবং সমাজে বাস করি ।  সবাইকে নিয়েই আমাদের চলতে হয় । জীবনে চলার পথে সব সময় যে সঠিক রাস্তায় আমরা চলতে পারব,  এর কোন নিশ্চয়তা নেই । কখনো কখনো আমাদের পথচলা থেমে যায় । কিন্তু মনীষীদের উপদেশ এবং বাণীগুলি মাথায় থাকলে চলার পথে নতুন প্রেরণা এবং উদ্যম চলে আসে । জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন ।এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে । একজন মানুষ যেমন ভাবেন তাঁর জীবন তেমনি হয়।  যে দিনের শুরু একটি ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে করেন, তার দিনটাও তাকে ঠিক তেমনি কিছু উপহার দেয়; আর যার দিনের শুরু হয় একটি নেতিবাচক ভাবনা দিয়ে শুরু হয়, তবে তার দিনটাও নেতিবাচক কাটে।

আদর্শেরও একটা ক্রমবিকাশ আছে | আদর্শ সম্বন্ধে মানুষের ধারণা একদিনেই ধ্রুবভূমি খুঁজে পায় নি | দূর-দৃষ্টি, দূর-চিন্তা, পশ্চাতের অভিজ্ঞতা, ইতিহাস, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, উন্নততর জীবনের উত্তরণের সাধনা আদর্শ সম্বন্ধে নিত্য নতুন সংজ্ঞা দিয়ে গেছে | আজকের সমাজ এই পুরো ইতিহাসের মালিক, পুরো ঐতিহ্যের শরিক | আজকের মানুষ তাই যখন নিজের আদর্শ কি, ভাবতে বসে তখন সব কটা সম্ভাব্য আদর্শ সামনে এসে দাঁড়ায় | শিল্পী ভাবছে তার শিল্প সৃষ্টির আদর্শ কি হবে ? কোন আদর্শের রূপায়ণে জীবন শক্তি উৎসর্গ করবে ? শিক্ষক ভাবছেন ছাত্র কোন আদর্শে তৈরী করব ? লেখক ভাবছেন কোন আদর্শ লিখব ? আর সাধারণ ভাবছে বেঁচে থাকার আদর্শ কি ? হয়তো যুগ যুগ ধরে এই ভাবে আদর্শের হাত ধরে উন্নতিকল্পে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু স্বামীজী এসে দেখালেন ও শেখালেন এই যে উন্নতিকল্প এটাই ব্যবহৃত বেদান্তের ফলিত রূপ | এভাবেই বেদান্তকে আরো কাজে লাগিয়ে তোলা যায় - পদ্ধতি ছিল কিন্তু পদ্ধতির নাম আমাদের কাছে ছিল অজানা |

বেঁচে থেকে জীবনকে উপভোগ করতে করতে বৃদ্ধির পথে চলাটাই ধর্ম্ম । তবুও কি বোঝা গেল না ধর্ম্ম কাকে কয় ! ধর্ম্ম বিজ্ঞান আলাদা কোথায় ? বিজ্ঞান যখন আমাদের জীবন বৃদ্ধির সহায়ক তখন তা ধর্ম্ম, কিন্তু যখন তা জীবন-বৃদ্ধিকে বিধ্বস্ত করে তখন তা কিন্তু অধর্ম্মই । যে কোনও কিছুর সাথে অত্যধিক সংযুক্তিও সমস্যা তৈরি করে। সংযুক্তির কারণে অনেকেই সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্যটি ভুলে যায়। মোহকে জড়তার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জড়তা মানে এটি কোনও ব্যক্তিকে এগিয়ে যেতে দেয় না, আবদ্ধ করে। মুগ্ধতায় আবদ্ধ একজন ব্যক্তি তার বুদ্ধি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না। ব্যক্তি যদি অগ্রগতি না করে তবে কাজে কোনও সাফল্য আসবে না।ধৃতরাষ্ট্র দুর্যোধন হস্তিনাপুর আবৃত্তি সম্পর্কে অত্যন্ত আকৃষ্ট ছিলেন। এই কারণেই ধৃতরাষ্ট্রও পুত্র দুর্যোধন কর্তৃক সম্পাদিত অযৌক্তিক কৃতকর্মের জন্য নীরব ছিলেন। এই মুগ্ধতার কারণে, কৌরব রাজবংশ ধ্বংস হয়েছিল।

ভাগ্য হচ্ছে বর্ষার জলের মতো, আর পরিশ্রম হচ্ছে কুয়োর জলের মতো, বর্ষার জলে স্নান করাতো সহজ, কিন্তু রোজ রোজ আমরা বর্ষার জলের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা, ঠিক তেমনি ভাগ্যের জোরে আমরা অনেক কিছু অতি সহজে তো পেয়ে যাই ঠিক কিন্তু, সবসময় আমরা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেনঃ- "কর্মন্যে বাধিকারস্তে মা ফলেসু কদাচন" -অর্থাৎ কর্ম করে যাও, ফলের আশা করবেনা।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।