Tuesday 3 March 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-৯২(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-92(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ৯২,PRERANA SERIES-92(Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।


আমার ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রকৃতি মানুষের পরিচয় কি? আমরা কি প্রকৃত মানুষ?’ প্রশ্নটি যত সহজ বলে মনে হয়, উত্তর তত সহজ নয়; বরং জটিল এর উত্তর। এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন যে একজন প্রকৃত মানুষ হতে হলে তার কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। নিজেকে প্রকৃত মানুষরূপে গড়ে তুলতে হলে সর্বপ্রথম নিজের অন্তর্নিহিত মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হবে। অন্তরচেতনাকে জাগ্রত করতে হবে। বর্তমান সমাজে মানুষ হয়ে উঠেছে আত্মকেন্দ্রিক। তারা সর্বদাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। তারা নিজের বৈষয়িক চিন্তায় এতই মগ্ন যে, অন্যের সুখ-দুঃখ নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের থাকে না। মানুষের এ স্বার্থান্বেষী চিন্তাধারার জন্য তারা মানুষের প্রকৃত রূপ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।প্রকৃত মানুষ হতে হলে আমাদের চাই পরস্পরের প্রতি অন্তরের ভালোবাসা, চাই স্নেহ, করুণা, স্বার্থপরতাহীনতা। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললে দেখা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে কীভাবে চলছে হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধ, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ইত্যাদি পাপকর্ম। এটাই কি প্রকৃত মানবের মনুষ্যত্বের পরিচয়? যে ব্যক্তি সর্বশক্তিমান মানুষকে  বিশ্বাস করে এবং মানুষকে ভালোবাসে, সে প্রকৃতই মনুষ্যত্বের অধিকারী একজন ব্যক্তি । অর্থাৎ সে এমন এক মানুষ , যার অন্তরে থাকবে পরস্পরের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা ও গভীর  আত্মবিশ্বাস।  স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বরে।’ অর্থাৎ তাঁর মতে প্রাণ মাত্রই ঈশ্বরের সমতুল্য। কিন্তু বর্তমান মানবসমাজের গতি তার উল্টো দিকে। বর্তমানে মানুষ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত শুধু।

এক চাষি জমিতে চাষ করছিল ! চাষ করার সময় জমিতে হঠাৎ সে তিনটি পাথর খূঁজে পেল । পাথর গুলি জমির পাশে রেখে জমির চাষ শেষ করলো । বাড়ি যাওয়ার সময় পাথর গুলি সাথে নিয়ে গেল । বাড়িতে গিয়ে পাথর গুলি টেবিলের উপর রাখল । যখন সন্ধ্যা হলো , তখন চাষির স্ত্রী আলো জ্বালাতে গেল । গিয়ে দেখল পাথর গুলি থেকে আলো বের হচ্ছে । ঘর পুরো আলোকিত হয়ে গেছে । তার পরে তিন চার দিন কেটে গেল চাষির ঘরে আলো জ্বালাতে হয় না, পাথরের আলোয় হয়ে যায়। এর পরে একদিন পাশের ঘরের একজন মহিলা এলো চাষির ঘরে । এসে চাষির স্ত্রীকে বললো তোমার ঘরে আলো ছাড়া আলোকিত কিভাবে ? তখন চাষির স্ত্রী সব কিছু বললো ওই মহিলাকে । মহিলার স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী । তাই মহিলা বললো এই পাথর আমার স্বামীকে দিয়ে দাও , উনি তোমাদেরকে পাঁচ - ছয় লাখ টাকা দেবে । তখন চাষির স্ত্রী বললো- আমার স্বামী বাড়ি এলে বলবো । এরপর চাষি বাড়ি এলে তার স্ত্রী পাঁচ- ছয় লাখ টাকার কথা বললো । তখন চাষি বললো ব্যবসায়ী যখন সাধারণ এই পাথরের বিনিময়ে 5 / 6 লাখ টাকা দিতে রাজি । তাহলে মহারাজা তো আরো বেশি দেবে । চাষি পাথর নিয়ে মহারাজার কাছে গেল । মহারাজ পাথর দেখে চাষিকে বললো এই পাথরের বিনিময়ে তুমি কি চাও ? তখন চাষি বললো আপনি যা দিবেন তাই নেবো । তখন মহারাজ মন্ত্রীকে বললেন সব থেকে যে গুদামে বেশি মোহর ওই গুদামের চাবি নিয়ে যাও । তার পরে মহারাজ চাষিকে বললো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমাকে সময় দেওয়া হল, তুমি যত মোহর পার নাও । যদি সব গুলি নিতে পারো নিয়ে নাও । তার পরে চাষি চাবি দিয়ে দরজা খুলল । খোলার পর দেখতে পেলেন মোহর ভর্তি ঝুড়ি । তার পর চাষি বলতে থাকলো এটা আগে নেবো, ঐটা আগে নেবো । চাষির মোহর দেখতে দেখতে গুদামের শেষ মাথায় চলে গেলো। শেষ মাথায় গিয়ে দেখলো একটা স্বর্ণেরখাট , তখন চাষি মনে মনে বলল এখন পর্যন্ত কিছুই নিতে পারলাম না দেখতে দেখতে শেষ মাথায় চলে এসেছি । যাক এই স্বর্ণের খাট টা নিয়ে নেবো । তখন চাষি মনে মনে ভাবল একটু শুয়ে দেখি । চাষি শুয়ে দেখতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন । যখন চাষির ঘুম ভাঙ্গল , চাষি দেখলো সন্ধ্যা হয়ে গেছে  । সময় শেষ কিন্তু কিছুই নিতে পারলাম না । তখন চাষি বললো একটা মোহরের ঝুড়ি নিয়ে নিই । কিন্তু পাহারাদার বললো তোমার সময় শেষ, তুমি আর কিছুই নিতে পারবে না । তখন চাষি খালি হাতে ফিরে গেল । চাষি ভেবেছিলেন সময় আছে একটু দেখে নিই , দেখতে গিয়ে সময় চলে গেছে ।  আমরা সঠিক  সময়ের ভিতরে সময়ের কাজগুলো সময়ে করে নেবো । তা না হলে চাষির মতো খালি হাতে ফিরতে হবে । আমরাও দেখতে দেখতে সময় নষ্ট করে ফেলেছি । তাই অবিলম্বে আমাদেরকে এগুলো বোঝার এবং সময়ের কাজ সময়ে  করার দরকার রয়েছে ।

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন 

এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 


মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।

এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment