Thursday 28 May 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১২২(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-122(Prerana)]

যে একটি অবরোধকে জীবনের কেন্দ্র বানিয়ে  নিজের জীবনের গতিই থামিয়ে দেয়, সে জীবনে সফল হতে পারে না।প্রেরণা সিরিজ - ১২২,PRERANA SERIES-122 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।




কখনও কখণও কোন ঘটনা মানুষের জীবনের সকল পরিকল্পনা ভেঙ্গে দেয়। আর মানুষ সেই আঘাতকেই জীবনের কেন্দ্র বানিয়ে নেয়। কিন্তু ভবিষ্যৎ কি মানুষের পরিকল্পনার আধারে নির্মিত হয় না। যেভাবে কোন উচু পর্বতে যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম চড়ে সেই পর্বতের পাদদেশে বসে সে যা পরিকল্পনা করে সেই পরিকল্পনাই কি তাকে পর্বতের শিখরে পৌছে দিতে পারে? না, বাস্তবে যত উপরে ওঠে তত নিত্যনতুন পরীক্ষা নতুন বিরম্বনা নতুন ধরনের অবরোধের সম্মুখীন হয়। প্রত্যেক পদে তার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হয়। প্রত্যেক পদে তাকে পরিকল্পনা বদলাতে হয়। না হলে যদি পুরাতন পরিকল্পনা তাকে ক্ষাদের দিকে ঠেলে দেয়। সে পর্বতকে নিজের যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে না। কেবল নিজেকে পর্বতের যোগ্য তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। আচ্ছা জীবনের ক্ষেত্রে তো এমনি হয়, তাই না? যখন মানুষ তার কোন একটি ক্ষেত্রে বাধা , কোন একটি অবরোধকে জীবনের কেন্দ্র বানিয়ে নেয়, নিজের জীবনের গতিই থামিয়ে দেয়, তখন সে তার জীবনে সফল হতে পারে না। পারে না সুখ আর শন্তি প্রাপ্ত করতে। অর্থাৎ জীবনকে নিজের যোগ্য করে তোলার বদলে স্বয়ং নিজেকে জীবনের যোগ্য গড়ে তোলাই কি সাফল্য আর সুখের একমাত্র মার্গ নয়? 


যে স্বাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আহারকেই ত্যাগ করে বাস্তবে তার মন থেকে স্বাদের লালসা কখনোই যায় না। তার দু-প্রকারের হানি হয়। প্রথমত সে দুর্বল হয়ে পরে। যার কারণে পরমাত্মাকে প্রাপ্ত করার জন্য যে প্রসেচষ্টা অনিবার্য তা সে করতে সক্ষম হয় না। আর দ্বীতিয়ত- সর্বদাই তার মন স্বাদ গ্রহণের লালশায় পূর্ণ থাকে। এই হেতু আহার ত্যাগের চাইতে উত্তম কার্য স্বাদ গ্রহণের লালশাকেই ত্যাগ করে ফেলঅ। কর্মযোগী নিজের মনের সমস্ত লালশাকে নিষ্কাশন করে, জীবনেকে কর্তব্য মনে করে কার্য অবশ্যই করে, সেই কার্যে আবদ্ধ হয় না। অর্থাৎ যে ব্যাক্তি নিজের কার্য থেকে আশা বা আকাঙ্খরা রাখে না তারই কার্য পূর্ণ হয়। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)

ভয় কী? 
মানুষের জীবনে ভয়ের বসত করে সর্বদাই, কখনও সম্পত্তি নাশের ভয়, কখনও অপমানের ভয়, কখনও আপন জনের সাথে বিচ্ছেদের ভয়। এ কারণেই ভয়ের অস্তিত্ব সবার একই রকম মনে হয়। কখনও কি বিবেচনা করেছেন- যে কোনো পরিস্থিতি বা বস্তু ভয়ের জন্ম দেয়। তার থেকে বাস্তবে দুঃখ তৈরি হয়? না এমন কোন নিয়ম নেই, আর সবার অভিজ্ঞতা তো এই বলে- ভয় ধারন করলেই ভবিষ্যতের দুঃখের নিবারণ কমে। ভয় কেবল আগামি দুঃখের কল্পনা মাত্র। বাস্তবের  সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ভয় আর কিছু নয়, কেবল কল্পনা মাত্র। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া কি খুব কঠিন কাজ? অবশ্যই বিচার করে দেখুন। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)

পূর্ব পুরুষদের ইচ্ছা, আশা, মহৎ আকাঙ্খা, ক্রোধ, বিবাধ, প্রতিশোধ এ সব কিছুর ভার নতুন প্রজন্মকে বহন করতে হয়। মাতা-পিতা নিজের সন্তানকে দিতে তো চান বিশ্বের সমস্ত সুখ, কিন্তু দিয়ে ফেলেন নিজের জমানো পীরার সত্তা। দিতে চান অমৃত, কিন্তু সাথে সাথে বিষের ঘড়াও পূর্ণ করে দিয়ে জান। আপনি বিচার করুন আপনি আপনার সন্তানকে কি দিয়েছেন জীবনে? অবশ্যই প্রেম, জ্ঞান, সম্পত্তি এসব দিয়ে থাকবেন। কিন্তু তার সাথে সাথে ওদের মনে বিষ দেননি তো? পূর্ব শর্ত দিয়ে ভালমন্দের পূর্ব পরিকল্পিত ব্যাখ্যা দেন নি তো? ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির, সমাজের সাথে সমাজের রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের এ সংঘর্ষ পূর্ব ব্যাখ্যার থেকে নির্মিত নয় কি? হত্যা, মৃত্যু, রক্তপাত, এসব কি পূর্বব্যাখ্যা প্রেমের প্রকাশের সাথে ঘৃনার অন্ধকার ও উপহার দেন। অন্ধকার মনের হোক,হৃদয়ের হোক বা বাস্তবিক হোক, তার থেকে কেবল ভয়ের উৎপত্তি হয়। কেবল ভয়। স্বয়ং বিচার করুন। -(ভগবান শ্রীকৃষ্ণ)

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।


মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।




Wednesday 27 May 2020

দমকা বাতাসে নিভে যাওয়া মোমবাতি আবার আগুন দিয়ে জ্বালানো যায়, কিন্তু মানুষের জীবন প্রদীপ একবার নিভে গেলে তা আর কখনই জ্বালানো সম্ভব নয়।আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১২১(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-121(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ১২১,PRERANA SERIES-121 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।




মানুষ হচ্ছে মোমবাতির মতো। আর মোমবাতির জ্বলন্ত আগুন হচ্ছে মানুষের আয়ু। মোমবাতির গলে যাওয়া প্রতিটা ফোঁটা হচ্ছে মানুষের দিন। যা কিনা অনবরত: শেষ হয়ে যাচ্ছে।একটা সময় গলতে গলতে পুরো মোমবাতি যেভাবে শেষ হয়ে যায়,ঠিক সেভাবে একটা একটা দিন যেতে যেতে মানুষের আয়ুও চলে যায়। অনেক সময় দেখা যায় পুরো মোমবাতি গলার আগেই অর্ধেক থাকা অবস্থায় দমকা বাতাসে নিভে যেতে পারে। পার্থক্য শুধু এতটুকুই- দমকা বাতাসে নিভে যাওয়া মোমবাতি আবার আগুন দিয়ে জ্বালানো যায়, কিন্তু মানুষের জীবন প্রদীপ একবার নিভে গেলে তা  আর কখনই জ্বালানো সম্ভব নয়।তাই আসুন আমরা জীবনের প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে এই মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ এবং সহজ উপাসনা করি

  • আপনি যদি সুখী হতে চান তাহলে প্রথমেই অন্যকে দুঃখ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা, এজগতের প্রতিটা ক্রিয়ার সমান বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, তাই আজ যদি আপনি কাউকে দুঃখ দেন, তাহলে কাল সেই দুঃখ আপনার জীবনে আসবেই।
  • অন্য জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্খা ত্যাগ করুন। কেননা, অনিত্য এই জগতে প্রকৃত কোন ভালোবাসা নেই, এটা স্বার্থের দুনিয়া, তাই একটু স্বার্থের কমতি পড়লে যে কেউ যেকোন সময় আপনাকে দুঃখ দেবে।
  • এটা অনিত্য জগৎ। প্রকৃত অর্থে, এখানে কেউ আপনার নিত্য সঙ্গী নয়, জগতের কেউ একই পূর্বে সবসময় আপনার সাথে ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না, পৃথিবী নামক এই রঙ্গমঞ্চে আমরা অভিনয় করার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য একত্রিত হয়েছি, তাই এই সরল সত্যটি মেনে নিয়ে জগতের কাউকে নিয়ে নিত্যকাল বাঁচার ইচ্ছা করবেন না, যে কেউই যেকোন সময় আপনাকে একা ফেলে রেখে চলে যেতে পারে।
  • আপনি মেনে নিন এটা দুঃখের জগৎ। আর এটা মেনে নিয়ে দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, এজন্য অবশ্যই পাপশুন্য হয়ে সাধু-গুরু-বৈষ্ণবের নির্দেশ মতো আপনার জীবন পরিচালিত করুন এবং মনগড়া ধর্ম পরিহার করুন।
যদি এই চারটি সত্য মেনে নেন তাহলে দেখবেন যে কোন দুঃখই আপনার মনকে স্পর্শও করতে পারবে না, আপনার ইহকাল পরকাল দুটোই আনন্দময় হবে।
  1. অনেকে মনে করে থাকেন যে সংসারে কাজর্কম ত্যাগ করাই হল সন্ন্যাস। কাজ মাত্রকইে তারা বন্ধন বা দুঃখরে কারণ মনে করনে, তাই সকল রকম কাজই পরিত্যাজ্য মনে করনে কিন্তু তারা ভুল করেন, কর্ম ত্যাগ করা নয়, র্কমফলের লোভকে ত্যাগ করাই হল আসল ত্যাগ বা সন্ন্যাস” – Shri krishna
  2. শুধুমাত্র মনই মানুষের মিত্র কিংবা শত্রু হয়ে থাকে” – Shri krishna
  3. নরকের তিনটে দরজা হয়- কামনা, ক্রোধ এবং লোভ” – Shri krishna
  4. যে সব ইচ্ছাকে ত্যাগ করে দেয় এবংআমিআমারএই লালসাপূর্ণ ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যায় | সেই একমাত্র প্রকৃত শান্তিলাভ করে” – Shri krishna
  5. তুমি সেইসবকে নিয়ে শোক করো যা শোক করার যোগ্যই নয়, কিন্তু তবুও জ্ঞানের কথা বলো | বুদ্ধিমান ব্যক্তি না জীবিত আর নাই বা মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে শোক পালন করে – Shri krishna
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।


Monday 25 May 2020

নিজের পীড়ায় আবদ্ধ হলে মানুষ শক্তিহীন হয়ে পরে, আর বিশ্বসংসারের সকলের পীড়ার কথা মনে করলে মানুষ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১২০(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-120(Prerana)]


প্রেরণা সিরিজ - ১২০,PRERANA SERIES-120 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।



নদীর জলে স্নান করে সকলের পাপ মোচন হয়, কিন্তু নদী কখনো পাপ যুক্ত হয় না এতে।  নদীতে ময়লা পড়লে সেই ময়লা নদী সমুদ্রের সাথে মিশিয়ে দিয়ে নিজে নির্মল থাকে। সকলকে ক্ষমা করে দাও এবং নিজের সকল দুঃখকে পরমাত্মার সাথে একিভুত করে নিজেকে গ্লানি মুক্ত কর। প্রতিশোধ কখনো ধর্ম হতে পারে না, প্রতিশোধ হলো অধার্মিকের অধর্ম। তুমি নিজের কথা ভাবছ  ? এক বার ভেবে দেখ সাধারণ স্ত্রী লোকের কি পরিনতি হবে ? শুধু নিজের কথা ভেবোনা , সংসারের কথা ভাব। নিজের পীড়ায় আবদ্ধ হলে মানুষ শক্তিহীন হয়ে পরে, আর বিশ্বসংসারের সকলের পীড়ার কথা মনে করলে মানুষ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। নিজের পীড়া দ্বারা বিশ্বসংসারের পীড়াকে অনুভব কর  সকলকে  ক্ষমা করে দাও , তোমার ক্ষমাই হবে ওদের বিনাশের প্রথম পদক্ষেপ।

ধন-সম্পদ কামনার দাস বা হাতের পুতুল হয়ে পড়লে, তা আপনার প্রকৃতি চরিত্রে একটা নিশ্চিত অধঃপতন নিয়ে আসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এর ফল, চরম ব্যর্থতা হতে পারে।
বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ দ্রোপদীকে যে সকল বানী দিয়ে উদ্দিপ্ত করেছিলেন সেই সব উক্তি ধ্বংস হয়ে যাওয়া মনের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে শ্রেষ্ঠ বানী নিম্নে দেওয়া হলো।
1.জ্ঞানীর নিকট সত্যই পরম ধর্ম। 2.দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।3.গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ? যখন মোহ ত্যাগ করবে,তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে। 4.শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়,তাই শোক করোনা। 5.ব্যাবহার চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়। 6.মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর। 7.সত্যই জগতের নিয়ন্ত্রক,সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে। 8.মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারেনা। 9.চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে,হিমবন বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে,সমুদ্র বিরান হয়ে যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না। 
10.শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষ যেমন সত্তরই নির্জীব হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়। 11.উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত জয় করতে পারে। 12.দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত পরম সঙ্গী আর কেউ নেই অনুকম্পা,দয়া, ক্ষমাও মানবতার মত বড় গুন আর নেই।13.হৃদয়বানের কোন ক্রোধ নেই। 14.অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্যব্যায় করেনা। 15.দেশে দেশে বন্ধু,আত্মীয়স্বজন বা স্ত্রী মেলে কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে ভ্রাতা লক্ষন এর মত সহোদর মেলা সম্ভব।16.তপস্যাই পরম শ্রেয়,বাকী সকলই মায়া।17.যদিও লঙ্কা ধন সম্পদে পরিপূর্ণ তথাপি হে লক্ষন, এখানে আমার শান্তি লাভ হচ্ছেনা, সব সময় মনে রাখবে, জননী ও জন্মভুমি স্বর্গ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।