মানবজীবনের উদ্দেশ্য কি ?
প্রেরণা সিরিজ - ১১৫,PRERANA
SERIES-115 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে
নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে
শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে
অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের
সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই
আছো আর সুস্থ আছো।
গাধাকে সৃষ্টি করার পরে সৃষ্টিকর্তা বললেন :"তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবেনা।তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর।গাধা : সে কি! এত কষ্ট করে আমি এত দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইনা। দয়া করে আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন। ঈশ্বর : যাহ, তোকে তাই দিলাম। এরপর উনি কুকুরকে বললেন : "তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। তুই মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু হবে ৩০ বছর।"শুনে, কুকুর ঈশ্বরকে বলল দয়া করে একটু শর্ট করে আমার আয়ু ১৫ বছর করে দিন। আমি এতদিন বাঁচতে চাইনা। ঈশ্বর : এইবারও রাজি হয়ে গেলেন।
এরপর উনি বানরকে বললেন : "হে বানর, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া। আর তামশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর। সে ও আবেগে কেঁদে ঈশ্বরকে বলল দিবেনই যখন ১০ বছর দেন, আমি এত বড় জীবন দিয়ে কি করব? ঈশ্বর : এইবারও রাজি হয়ে গেলেন।ঈশ্বর এইবার পুরুষকে বলল : "তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ। তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর।" সে তো খুশিতে পাগল হয়ে গেল। কিন্তু এত মহত জীবন নিয়ে মাত্র ২০বছর!
সে কর জোরে প্রভুকে বলল প্রভু আপনি আমাকে গাধার ফেরত দেওয়া ৩০ বছর, কুকুরের ফেরত দেওয়া ১৫ বছর,বানরের ফেরত দেওয়া ১০ বছর, আমাকে দিয়ে দেন। ঈশ্বর বললেন : নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুই যখন বুঝলি না। যাহ, দিলাম। সেই থেকে ছেলেরা পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০বছর, পরের ৩০ বছর গাধার মত সংসারের বোঝা টানে। বাকি পরের ১৫ বছর ছেলে মেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মতো। আর তার পরের ১০ বছর বানরের মত, কখনো এক সন্তানের বাসা তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘোরে আর নাতি নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব।
১. প্রশ্নঃ -মানবজীবনের উদ্দেশ্য কি ? উত্তরঃ- মানবজীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই চেতনাকে জাগ্রত করা, যে চেতনা জন্ম এবং মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত রয়েছে, সেই চেতনাকে জানা'ই হচ্ছে মোক্ষ। ২. প্রশ্নঃ- জন্ম এবং মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত কে ? উত্তরঃ- যিনি স্বয়ং নিজে এই চিন্ময় আত্মাকে জেনেছেন, তিনিই জন্ম ও মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছেন। ৩. প্রশ্নঃ- সংসারে এত দুঃখ আছে কেন ? উত্তরঃ- লোভ, স্বার্থ এবং ভয়ই সংসারে দুঃখের অন্যতম কারণ। ৪. প্রশ্নঃ- ঈশ্বরই কি দুঃখের রচনা করেছেন ? উত্তরঃ- ঈশ্বর সংসার রচনা করেছেন, আর মনুষ্য নিজের বিচার আর কর্মের দ্বারাই দুঃখ এবং সুখের রচনা করেছেন। ৫. প্রশ্নঃ- ঈশ্বর কি আছেন ? কে উনি ? উত্তরঃ- কারণ ছাড়া কার্য হয় না, এই সংসার ঐ কারণেরই অস্তিত্বের প্রমাণ, তুমি আছো-সেইজন্যে তিনিও আছেন,সেই মহান কারণকেই আধ্যাত্মিক ভাষায় ঈশ্বর বলা হয়ে থাকে।
PURAN KAHINIR ANTARNIHIT ARTHA |
৬.প্রশ্নঃ- এই জগতে সবচেয়ে বড় আশ্চর্য কি ?উত্তরঃ- প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে হাজারো লোকের মৃত্যু হচ্ছে এবং এটা সবাই দেখছে, তবুও সবাই অনন্তকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করছে-এরচেয়ে বড় আশ্চর্যের আর কি হতে পারে ! ৭. প্রশ্নঃ- ভাগ্য কি ? উত্তরঃ- প্রত্যেক ক্রিয়া, প্রত্যেক কর্মের'ই একটি পরিণাম থাকে,পরিণাম ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে,এই পরিণামই হচ্ছে ভাগ্য তথা আজকের প্রযত্নই কালকের ভাগ্য। ৮. প্রশ্নঃ- কোন জিনিষকে হারিয়ে মানুষ ধনী হতে পারে ? উত্তরঃ- লোভ। ৯. প্রশ্নঃ- জীবনে সুখী থাকার উপায় কি ? উত্তরঃ- ভালো স্বভাব। ১০. প্রশ্নঃ- কোন জিনিষ হারিয়ে গেলে দুঃখ হয় না ? উত্তরঃ- ক্রোধ।
১১. প্রশ্নঃ- ধর্ম ছাড়া এই সংসারে আরেকটি মূল্যবান জিনিষ কি ? উত্তরঃ- দয়া। ১২. প্রশ্নঃ- কোন জিনিষ অপরকে দেওয়া উচিত নয় ? উত্তরঃ- কষ্ট এবং বিশ্বাসঘাতকতা। ১৩. প্রশ্নঃ- কোন জিনিষ মানুষকে সবকিছু করতে বাধ্য করায় ? উত্তরঃ- নিরুপায়। ১৪. প্রশ্নঃ- এই পৃথিবীতে সবচেয়ে অপরাজিত জিনিষ কি ? উত্তরঃ- সত্য। ১৫. প্রশ্নঃ- সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক কার্য কোনটি ? উত্তরঃ- পরোপকার। ১৬. প্রশ্নঃ- পৃথিবীর সবচেয়ে স্বর্গীয় স্বপ্ন কি ? উত্তরঃ- মানুষের বেঁচে থাকার স্বপ্ন। ২৭. প্রশ্নঃ- পৃথিবীর অপরিবর্তনীয় জিনিষ কোনটি ? উত্তরঃ মৃত্যু।১৮. প্রশ্নঃ- কোন বিষয় মানুষ স্বয়ং বুঝতে পারে না ? উত্তরঃ- নিজের মূর্খতা। ১৯. প্রশ্নঃ- পৃথিবীর কোন জিনিষ নষ্ট হয় না ? উত্তরঃ আত্মা ও জ্ঞান। ২০. প্রশ্নঃ- পৃথিবীর কোন জিনিষ কখনওই থেমে থাকে না ? উত্তরঃ- সময়।
জীবনে
অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক
মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার
গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে
যেতে পারে ।
মোটিভেশনাল
ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির
উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে
অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে
বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment