যতো অধিক অস্বিকার ততো অধিক সংঘর্ষ, আর যতো অধিক গ্রহণ ক্ষমতা ততোই অধিক সুখ।আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা
কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১১৭(প্রেরণা)
প্রেরণা সিরিজ - ১১৭,PRERANA
SERIES-117 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে
নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে
শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে
অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের
সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই
আছো আর সুস্থ আছো।
সময়ের প্রারম্ভ থেকে মানুষকে একটি প্রশ্ন সদায় পীড়া দেয় যে, তারা নিজের সম্পর্কগুলিতে অধিকতম সুখ আর ন্যূনতম দুঃখ কিভাবে লাভ করতে পারে ! আচ্ছা আপনার সমস্ত সম্পর্ক কি আপনাকে সম্পূর্ণ সন্তোষ দিতে পেরেছে কখনো? আমাদের জীবন সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়ে আছে, এ জীবনের সুরক্ষাও এই সম্পর্কের উপর টিকে আছে, সেই কারণে আমাদের জীবনের সমস্ত আধারও এই সম্পর্ক, কিন্তু তবুও আমাদের সম্পর্কগুলি থেকেই বেশিরভাগ দুঃখ কেন হয় ? সর্বদা সংঘর্ষ সম্পর্কগুলি থেকেই কেন উৎপন্ন হয় কখনও বিচার করেছেন ?
যখন কোন ব্যক্তি অন্যকোন ব্যক্তির চিন্তাধারাকে বা কাজকে স্বীকার করেনা, তার ভেতরে কোন পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা করে তখন সংঘর্ষের জন্ম হয়, অর্থ্যাৎ, যতো অধিক অস্বিকার ততো অধিক সংঘর্ষ, আর যতো অধিক গ্রহণ ক্ষমতা ততোই অধিক সুখ। এটা বাস্তব নয় কি! যদি মানুষ স্বয়ং নিজের প্রত্যাশার উপর অঙ্কুশ টানে, নিজের বিচার ধারাকে পাল্টায়, কোন অন্য ব্যক্তিকে পাল্টানোর চেষ্টা না করে স্বয়ং নিজের ভিতরেই পরিবর্তন আনার প্রয়াস করতে থাকে তবে কি সম্পর্কতে সন্তোষ লাভ করা খুব কঠিণ হবে ? অর্থ্যাৎ, স্বিকার করে নেওয়ায় কি সম্পর্কের বাস্তবিক অর্থ নয় ?
জীবনে আসন্য সংকটের সম্মুখীন হাওয়ার জন্য মানুষ যখন নিজেকে অযোগ্য মনে করে,যখন তার নিজের শক্তির উপর বিশ্বাস থাকেনা,তখন সে সৎ গুন ত্যাগ করে দূর গুনকে আপন করে নেয়।সম্ভবত মানুষের জীবনে কুলুশ বৃত্তি তখনিই জন্ম নেয়, যখন তার অন্তরে আত্মবিশ্বাস থাকেনা।আত্মবিশ্বাসই
সৃষ্টির দ্বারণ করে। যখন মানুষ বিশ্বাস করে যে জীবনের সংঘর্ষ তাকে দূর্বল করে তুলে,তখন তার নিজের উপর বিশ্বাস থাকেনা। সে সংঘর্ষ অতিক্রম করার বদলে সংঘর্ষ থেকে পালিয়ে যাওয়ার উপায় খুজঁতে থাকে।
কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে যে এই সংঘর্ষ তাকে অধিক শক্তিশালী করে তুলে, ঠিক যেমন প্রেম করলে দেহের শক্তি বৃদ্ধি পাই, তখন প্রত্যেক সংঘর্ষের সাথে তার উৎসাহও বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস আর কিছুই নয় মনেরি এক স্থিতি। জীবনকে দেখার এক দৃষ্টিকোন মাত্র। আর দৃষ্টিকোন তো মানুষের নিজেরি অধীনে থাকে তাই না?
যখন কোন ব্যক্তি কোন ঘটনার ভিতরে অন্যায়কে দেখতে পায় তখন সে ঘটনা তার হৃদয়কে তছনস করে দেয়। সমস্ত জগৎকে সে নিজের শত্রু রূপে জ্ঞান করতে থাকে। অন্যায় বলে মনে হাওয়া সে ঘটনা যতই বিরাট হয় মানুষের হৃদয়ও কিন্তু ততোই বিরোধীতা করতে থাকে। সে ঘটনার পরিপেক্ষীতে সে ন্যায়ের দাবি করে। আর এটাতো যোগ্যের কথা, বাস্তবিক সংসারের যেকোন রকমের অন্যায় ব্যক্তির আস্থা আর বিশ্বাসের বিনাশ ঘটে। কিন্তু এই ন্যায় কাকে বলে ? ন্যায়ের অর্থ কী ? অন্যায় যে করেছে সে যদি অনুতপ্ত হয় আর যার উপর অন্যায় হয়েছে তার মনে যদি আবার বিশ্বাস জাগে সমাজের প্রতি তাকেই তো ন্যায় বলে! কিন্তু যার হৃদয়ে ধৈর্যের স্থান নেই,সে ন্যায়ের পথ ছেড়ে দন্ড আর প্রতিশোধের পথ বেছে নেয়।হিংসার বদলে প্রতিহিংসার ভাবনা নিয়ে সে এগিয়ে যায়।সয়ং যা পীড়া ভোগ করেছে তার চেয়ে অধিক পীড়া অপরকে দেওয়ার প্রয়াস করে। আর এই পথে চলতে গিয়ে অন্যায় যার উপর হয়েছে সে সয়ং অন্যায় করেই ফেলে! শ্রীঘ্রই সে অপরাধী হয়ে যায়। অথাৎ ন্যায়ে আর প্রতিশোধের মধ্যে খুব ক্ষুদ্র একটা ফারাক থাকে। আর সে ফারাকের নাম হলো ধর্ম!
জীবনে
অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক
মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার
গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে
যেতে পারে ।
মোটিভেশনাল
ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির
উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই
পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু
Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি
অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment