Thursday 21 May 2020

সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মান করার বদলে তার চরিত্রের নির্মান করাই শ্রেয় , [How to Improve Your Motivational Skill, Series-118(Prerana)]

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন,প্রেরণা সিরিজ - ১১৮,
 PRERANA SERIES-118 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।




পিতা সর্বদা নিজের সন্তানের সুখেরই কামনা করে, আর ভবিষ্যৎ এর সুখের চিন্তায় মগ্ন থাকে। আর সে কারন বশতই সদা নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ এর লক্ষ্য নিজেই নিশ্চিত করার চেষ্টা করে থাকে, যে পথে পিতা সর্বদা চলেছে, সে পথে কাটা, কাকড়ের সাথে সে পরিচিত, পথের ছায়া, পথের পাত কে সে স্বয়ং অনুভব করেছেন, সে পথে তার পুত্র চলুক এই এই ইচ্ছাই থাকে প্রত্যেক পিতার! নি-সন্দহে এই এক উত্তম ভাবনা।
কিন্তু টি প্রশ্নের উত্তর তারা ভুলেই যায় - কি সে প্রশ্ন ?
). এই সময়ের সাথে সাথে প্রত্যেক পথের পরির্বতন হয় নাকি!সময় কি সর্বদা নতুন পরীক্ষার সম্মুখিন করে না!তাহলে বিগত বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্ম কে কি লাভ দিতে পারে!
). প্রত্যেক সন্তানেরা কি তার মাতা-পিতার প্রতিচ্ছবি হয়!সন্তান কে তো শিক্ষা পিতা-মাতাই প্রদান করেন কিন্তু অন্তরের ক্ষমতা ঈশ্বরের দান।তবে যে পথে চলে পিতা সাফল্য পেয়েছে,এইটা কি নিশ্চত এই পথে চলে তার পুত্র সাফল্য আর সুখ লাভ করতে পারবে!
). জীবনের সংঘর্স আর পরীক্ষা কি লাভ প্রদান করে না!প্রত্যেক নতুন প্রশ্ন কি এক নতুন উত্তরের দ্বার খুলে দেয় না!তবে কি সন্তানের নতুন নতুন প্রশ্ন, সংঘর্স, আর পরীক্ষা থেকে দূরে রাখলে তা কি তাদের পক্ষে লাভ জনক হবে নাকি তাদের ক্ষতিই করবে!

অর্থাৎ যেমন ভাবে সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মান করার বদলে তার চরিত্রের নির্মান করাই শ্রেয়,তেমনি ভবিষ্যৎ এর পথ নির্ধারন করার বদলে তাদের নতুন নতুন সংঘর্সের সাথে লড়াই করতে পড়ার মনোবল আর জ্ঞান প্রদান করা এটাই কি লাভ জনক নয়!ভবিষ্যৎ তো প্রতিদিন, প্রতিক্ষনে নির্মিত হয়। ভবিষ্যৎ যে কিছু নয়। মানুষের আজকের নির্ণয় ও কর্মের পরিনাম।আপনি যদি আজ কোন নির্ণয় করে সন্তোষ বোধ করেন, তবে বিশ্বাস রাখুন ভবিষ্যতে অবশ্যই তার থেকে সুখ লাভ হবে।

মানুষের প্রত্যেকটা কাজের পেছনে উদ্দেশ্য অবশ্যই থাকে। হয়তো কেউ মামাশ্রী শকুনির মতো খুব ধুরন্ধর আর কপটতার জ্ঞান সঙ্গে নিয়ে জীবন নির্বাহ করেন । তাদের প্রত্যেক কার্যে ব্যাক্তি সার্থ জড়িত । এদিকে উভয় পক্ষ বিচার করলে এই কথাই প্রমাণিত হয় যে, মহারাজ পান্ডুর পুত্রগন সব সময়ই ধর্মের পথ অনুসরণ করেছেন। হ্যাঁ তাদের ও কার্যের পেছনে উদ্দেশ্য ছিলো। তবে তা অধর্মের নয় ধর্মের । জগতের কল্যাণ, প্রজাদের কল্যাণ, রাজ্যের সুখ শান্তি বৃদ্ধি । যে ব্যাক্তির কার্যের পেছনে কোন মহৎ উদ্দেশ্য যা জগতের সবার কল্যাণ সাধন করে সে কার্য যতই কঠিন হোক ধর্ম পরায়ণ ব্যাক্তি ঠিক তার কার্যে সফল হয় । স্বয়ং ঈশ্বর তাঁর সহায়তা করেন। 

অঙ্গ রাজ কর্ণ দৈব্যগুন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু অধর্ম হচ্ছে দেখেও মৌন ছিলেন । ওনার একমাত্র ইচ্ছা ছিলো তিনি অর্জুন কে ধনুক যুদ্ধে পরাজিত করে বধ করবেন। এই হেতু তাঁর সমস্ত জীবন ব্যায় করলেন । যদি একবার জগতের কল্যাণ চিন্তা করতেন নিজের কার্যের সঠিক বিচার বিবেচনা করতেন তাহলে এক ধৰ্ম পরায়ণ  রাজা হিসেবে অমর হয়ে থাকতেন। মিথ্যা কথা বলে বিদ্যা লাভ করলেন, কি প্রাপ্তি হল তার । জীবনের অন্তিম ক্ষণে সেই বিদ্যাও তার সঙ্গ ত্যাগ করলো ।

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন। এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment