Monday 13 April 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১১১(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-111(Prerana)]


প্রেরণা সিরিজ ১১১,PRERANA SERIES-111 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয়   নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  স্বাগতম।  আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।



যে কষ্টটা আপনি আজ পাচ্ছেন সেটা আগামীকাল আপনার অনুভূতির দেয়ালে শক্তি হয়ে দাঁড়াবে।  শোককে শক্তিতে পরিণত করুন,দেখবেন আপনার জীবন পাল্টে গিয়েছে। পড়ে বা শুনে জ্ঞান হতে পারে। কিন্তু প্রজ্ঞার জন্য দরকার অভিজ্ঞতা। জীবন থেকে শেখার সুযোগ তো সবসময়ই রয়েছে। এই শিক্ষা বদলে দেয় মানুষকে।জীবনে অনেক বিষয় আছে যা আমি করিনি কিন্তু চেষ্টা করলে সহজেই করতে পারি। আরও বুঝলাম, জীবনে আনন্দ পাবার অনেক পথ রয়েছে। প্রতিকূল বা অপছন্দের ক্ষেত্রে রাগ বা দুঃখ না করে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার। প্রতিটি সমস্যা বা চ্যালেঞ্জই আমাদের শক্তির বিকাশ ঘটায় যদি একে পজিটিভ দৃষ্টিতে নিই। মনের অসুখ কী জানেন ? সংশয় , অবসাদ , চঞ্চলতা এবং বিষয়ে আসক্তি ।


পরিবার ও কাছের মানুষকে সময় দিন।  আমরা কেউই কোনো সম্পত্তির মালিক নই, কেবল কিছু কাগজপত্রে অস্থায়ীরূপে আমাদের নাম লেখা থাকে। যখন আমরা বলি "এই জায়গার মালিক আমি" ,সৃস্টিকর্তা তখন হয়তো ব্যাঙ্গো হাসি হাসেন। কারোর সুন্দর গাড়ী, বাহারী পোশাক দেখে তার উপর বিচার করবেন না, অহংকার থেকে দুরে থাকুন, কেননা এই অহংকার একদিন আপনাকে শেষ করে দেবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিতে এসে আমরা কাছের মানুষগুলোকে অবহেলা করে অনলাইনে থাকা দুরের মানুষগুলোকেই প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে অমূল্যায়ন নয়, মূল্যায়ন  করুন, কেননা মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। ক্ষমা করা সৃষ্টির সেরা লক্ষণ, কারোর খারাপ দিকটা না দেখে আগে তার ভালো দিকটা দেখার দৃষ্টি ভঙ্গি রাখুন, কারন খারাপ এর পিছনে ভালো, আর ভালোর  পিছনে খারাপও থাকে। ধনী হওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু কেবল শুধুমাত্র অর্থের জন্যই ধনী হওয়া অপরাধ। তাই বলতে হয় জীবনকে Control করুন, নইলে জীবন একদিন আপনাকে Control করতে বাধ্য করবে।


একজন কৃষ্ণভক্ত গরীব গর্ভবতী মহিলা, প্রচন্ড গরমে জলের পিপাসায় জলের খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও জল পেলেন না , এরপর তিনি ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নিচে বসে পড়লেন । তিনি হঠাৎ দেখতে পেলেন যে গাছটির নিচে তিনি বসেছিলেন সে গাছটি থেকে একফোঁটা একফোঁটা করে জল পড়ছে । তিনি খুব দ্রুত একটি ছোট্ট পাতা দিয়ে কাপের মতো বানালেন এবং জল সংগ্রহ করতে লাগলেন যখন কাপের অর্ধেক জল ভর্তি হলো, ঠিক তখনই একটি পাখি এসে কাপটি ফেলে দেয় ,এমন করে তিনবার তিনি জল সংগ্রহ করেন আর পাখিটি তিনবারই ফেলে দেয় ,মহিলাটি পাখিটার উপর ভীষণ রাগ করলেন এবং পাখিটাকে একটি পাথর দিয়ে আঘাত করলেন এবং সেখানেই পাখিটা মারা গেল। কিছুক্ষন পর মহিলাটি দেখতে পেলেন ওই গাছের উপর থেকে একটি সাপ নেমে আসছে তখন মহিলাটি বুঝতে পারলেন , যে জল তিনি সংগ্রহ করেছিলেন সেটা আসলে জল না সাপের বিষ ছিলো । পরে মহিলাটা পাখিটার জন্য খুব আপসোস করলেন এবং তিনি বুঝতে পারলেন আমরা যখনই কোনো বিপদে পড়ি ভগবান সর্বদা আমাদের পাশে থাকেন কোনো না কোনো রূপে ভক্তের রক্ষা হেতু।


যখন  আপনার অর্থ থাকবে না, যখন আপনার সৌন্দর্য থাকবে না, যখন আপনার দেহে শক্তি থাকবে না, যখন আপনার সামনে কঠিন পরিস্থিতি এসে উপস্তিত হবে , তখন দেখবেন আপনার চিরচেনা মুখগুলো অপরিচিত হয়ে যাবে ! তখন আপনি হাজার ডাকলেও কাউকে পাশে পাবেন না !কেননা এটা স্বার্থের দুনিয়া! এখানে সবাই স্বার্থকে ভালোবাসে! জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

Saturday 11 April 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১১০(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-110 (Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ ১১০,PRERANA SERIES-110 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয়   নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  স্বাগতম।  আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।

ইমেজ সোর্স : ফেসবুক 

আমাদের হারিয়ে যাওয়া মনুষ্যত্ববোধ ও চারিত্রিক গুণাবলি ফিরিয়ে আনতে চাই পারস্পরিক সম্প্রীতি। পরিতাপের বিষয় আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রদায়গত ভেদবুদ্ধি মানুষের প্রতি আচরণে ঘৃণ্য বর্বরতায় মেতে উঠেছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির ওপর কলঙ্ক লেপন করছে। মানবিকতাকে করছে পদদলিত। যারা মানবিকতাকে অস্বীকার করে শুধু ধর্মের প্রচলিত যুক্তিহীন আচার-অনুষ্ঠানে ও বিশ্বাসে দায়বদ্ধ থাকে, তারাই মৌলবাদী। কোনো কোনো দেশের মৌলবাদীরা নিজ স্বার্থেই অন্ধ অনুগামীদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অসহিষ্ণু করে তুলছে। মৌলবাদীদের প্ররোচনাতেই সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মীয় বিদ্বেষ উগ্র রূপ ধারণ করছে। মনুষ্যত্বহীন মানব পানিবিহীন সাগরের মতো। পানিহীন সাগরের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় না, ঠিক তেমনি মনুষ্যত্বহীন মানুষেরও কোনো পরিচয় নেই। মনুষ্যত্ব আমাদের অন্তরের বিষয়। আর এ অভ্যন্তরীণ বিষয়কে জাগ্রত করতে আমাদের চাই আন্তরিক ইচ্ছা। এ মনুষ্যত্ব গড়ে তোলার জন্য আমাদের চাই মানসিক শক্তি, অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস, যা আমাদের প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে ও বিভিন্ন বিপদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। এ সংগ্রামে জয়ী হলেই আমরা প্রকৃত মানুষ হতে পারব।

মহাভারত থেকে - অর্জুন : মানুষ নিজের সন্তানের জন্য শ্রম করে, নিজের সন্তানের কাছে সুখের আশা করবে না? কৃষ্ণ : মানুষ তার সন্তানের জন্য যাই করে থাকে তা কি ব্যাবসা নাকি প্রেম? অর্জুন : প্রেম! কৃষ্ণ : তাহলে নিজের কার্যের প্রতি ফলের আশা কেন? ভবিষ্যতে লাভ তো ব্যাবসায় দেখা হয়, প্রেমে নয়। যে মানুষ তার সন্তানের চরিত্রের নির্মান উচিৎরূপে করে, সন্তানদের প্রেম আর ধর্মের সংস্কার দিয়ে থাকে, তার সন্তানেরাও তাকে প্রেম ও সুরক্ষা অবশ্যই দেয়। সন্তানদের কর্ম, সজনদের ব্যাবহার তাদের কর্ম। আর জখন তাদের কর্মের উপর আমাদের কোন অধিকার থাকে না তাহলে তাদের নিকট আাশা বা আাকাংখা রাখা কি প্রয়োজন? যদি গভীরভাবে চিন্তা করো তাহলে শিঘ্রই জেনে যাবে যে জীবনে এমন কোন কার্যই নেই যার সাথে আশা এবং আকাঙ্খা যুক্ত করা অনিবার্য। যখন সৃষ্টিই পরমাত্মা, আর মানুষ এই পরমাত্মারই অংশ তখন সকল কার্য এই পরমাত্মাই করেন। মানুষ স্বয়ং কিছুই করে না। এটিই কর্মযোগের মূল সিদ্ধান্ত। তোমাকেও কর্মযোগী হয়ে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনটি গুন ত্যাগ করে নির্গুন হয়ে যাও। এই দন্দ মুক্ত হয়ে যাও। সর্বদা স্বত্য অর্থাৎ পরমাত্মায় বুদ্ধি প্রয়োগ করে কর্তব্য নির্বাহ করতে থাকো। কিছু প্রাপ্তি লাভের আাশা আর কিছু প্রাপ্ত বস্তুকে সংরক্ষন করার ইচ্ছা ত্যাগ করো , আর নিজের আত্মাকে সতন্ত্র করো।

জীবন পরিচালনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাণী যার সবকটি মহাভারত থেকে নেওয়া -

★যদি কোন ঘটনার মানুষ বেশি ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয়। আর যে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী। (যাদবশ্রেষ্ঠ ভগবান শ্রী কৃষ্ণ)
★ধর্মের উপদেশ দেয়া যায়, আদেশ কিছুতেই দেয়া যায় না। সকলকে নিজের ধর্ম স্বয়ং নিশ্চিত করতে হয়। -(বেদব্যাস)
★যে বস্তু সহজেই লাভ করা যায়, সে বস্তুর প্রতি মানুষের মূল্যবোধ থাকে না।---(মহামন্ত্রী বিদুর)
★যারা শত্রুর শত্রু হয়, তাদের সাথে বন্ধুত করতে হয়।যেখানে বল কাজ করবে না সেখানে ছলের প্রয়োগ আবশ্যক --( শকুনি)
★যখনই মানুষের জীবনে কোন বিরূপ পরিস্থিতি আসে মানুষ তখনই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। ঈশ্বরের সম্মুখে মিনতি করে যেন সে পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পায়। কিন্তু এই প্রার্থনার বাস্তবিকরূপ কেমন হয়? সেটা কি আমরা কখনও বিবেচনা করেছি? প্রার্থনার অর্থ হল নিজের সমস্ত আকাঙ্খা, সমস্ত চিন্তা, সমস্ত সংকল্প, সমস্ত পরিকল্পনা ঈশ্বরের চরনে দান করা। অর্থাৎ নিজের কর্মেল ফল কি হবে সেই নিয়ে চিন্তা না করে ধর্মের অনুরূপ কর্ম করা। ঈশ্বরের পরিকল্পনাকেই নিয়তি বলে মেনে নেয়া সেটাই তো প্রার্থনা, তাই না? কিন্তু ঈশ্বরের সমস্ত পরিকল্পনা বোঝা সম্ভব কি? সেসব পরিকল্পনা তো আমাদের কর্মের পরিনামস্বরূপ প্রকাশ পায় সর্বদা। কিন্তু যদি কেউ সবকর্মকেই ত্যাগ করে, সেটা কি প্রকৃত প্রার্থনা? বাস্তবে কর্মই জীবন আর ফলের প্রতি মোহ না করাই সত্যিকারের প্রার্থনা। যে প্রার্থনা কর্মের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, মানুষকে কার্যই করতে না দেয়, সেটা প্রার্থনা না পরাজয়? স্বয়ং বিচার করুন।

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

Friday 10 April 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১০৯(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-109 (Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ ১০৯,PRERANA SERIES-109 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয়   নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog  স্বাগতম।  আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।



জীবনে কখনো কাউকে ছোট মনে করবেন না, মনে রাখবেন,পায়ের নিচের দূর্বাঘাসটাই পুজোতে লাগে, মাথার ওপরের তালগাছটা নয়। সকল সংগ্ৰহের অন্ত হল বিনাশ,লৌকিক উন্নতির অন্ত হল পতন,সংযোগের অন্ত হলো বিয়োগ,জীবনের অন্ত হল মরন। যা বিয়োগ তা থেকে সুখ কেমন করে পাওয়া যাবে, সুখ ও দুঃখ থাকার নয়, যাওয়া আসা এই ভবে।যার সংযোগ হয় তার বিয়োগ ও হয়, সংযোগ ভোগ একই কথা,সম্মান পেলে সন্তুষ্ট  হন,অপমানে পান শুধু ব্যাথা। 

মৃত্যুর পশ্চাতে দেহকে নষ্ট করা হয় কেন? বাস্তবে না মানুষের পরিচয় দেহের সাথে যুক্ত থাকে,  না তো সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে থাকে।  মানুষের স্বভাব,তার আচরণ আর তার কার্যই তার আসল পরিচয়। এই স্বভাব,আচরণ আর কার্য কিরূপে তৈরি হয় তাকে বিঝতে হবে।  মানুষের জীবন কেবল দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান পদার্থের মিলন মাত্র। কিন্তু তথাপি প্রত্যেক মানুষের স্বভাব তথা কার্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপন্ন হয় এর কারন হল সৃষ্টির তিন গুন-তম,রজ আর সত্য। তম শব্দের অর্থ অন্ধকার , ভাল মন্দ বিচার ব্যাতীত জীবন নির্বাহ করাকে তামসিক আচরণ বলা হয়ে থাকে। যেরূপে পশুপাখি বেঁচে থাকে। কেবল মাত্র শারীরিক ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য সত্য শব্দের অর্থ জ্ঞানের প্রকাশ যখন ব্যক্তি প্রতিটি পরিস্থিতে ধর্মের সত্যের আর পরম্পরার বিচার করে ব্যবহার করে থাকে তখন তাকে স্বাত্বিক জীবন বলা হয়।  এই দুয়ের অন্ত:স্থলেও এক প্রকারের ব্যক্তি থাকে যার নিকট জ্ঞান তো আছে কিন্তু শরীর আর মনের বাসনার সাথে আবদ্ধও রয়েছে , এরূপ ব্যাক্তি রজগুন অর্থাৎ অহংকারপূর্ন মন নিয়ে বেঁচে থাকে। তম রজ অথবা সত্য গুনের অধিক অথবা স্বল্পমাত্রার মিল বন্ধনে মানুষের স্বভাব তৈরি হয়। 

বর্তমান জগতে মানুষের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা দেখা যায়, তা অতি কৃত্রিম। তাতে থাকে না কোনো আন্তরিকতা, থাকে শুধু কপটতা আর স্বার্থপরতা। এ ভালোবাসা শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। বর্তমানে এ জগতের রথ চলছে মিথ্যা ও ছল নামক ইন্ধনের দ্বারা। এ রথে যারা চলছে, তাদের প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। তাদের ভণ্ডামির জন্য বর্তমান মানবসমাজ ধূলিসাৎ হচ্ছে। এ ধূলিসম অবস্থা থেকে উঠে আসার জন্য চাই প্রকৃত স্নেহ ও ভালোবাসা, যার দ্বারা আমরা এ বিশ্বের মানুষের মন জয় করতে পারব। একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠার জন্য নিজের ভাবাধারার পরিবর্তন ঘটানো একান্ত প্রয়োজন। যে ব্যক্তি জগতের সব ব্যক্তিকে নিজের বন্ধু, ভাই, পিতা ও নারীদের নিজের বোন, মা হিসেবে দেখেন, সে ব্যক্তিই প্রকৃত মানুষ। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশই স্বার্থপর। এ কারণেই বর্তমানে মানুষ অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যতই উন্নতি করি না কেন, প্রকৃত মানুষ না হতে পারলে এ উন্নতির কোনো মূল্য নেই।
এ জগতের বাহ্যিক রূপ অতি সুন্দর; কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ রূপ বড়ই জটিল। অনেক সময় বিভ্রান্তিকর মরীচিকার মতো। মানুষও জগতের মতোই। তারা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, লিপ্সা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অন্যকে মিথ্যা প্রলোভনে বিভ্রান্ত করে। এটি মনুষ্যত্ব নয়। এটি ভীষণ পরিতাপের বিষয়। সময় থাকতে আমরা যদি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে না পারি, তাহলে আমাদের পতন নিশ্চিত। এ পতন থেকে উঠে দাঁড়াতে হলে আমাদের অন্তর-আত্মাকে উন্নত করতে হবে। আমাদের স্বার্থপরতা বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে। তা হলেই মিলবে আমাদের মুক্তি, নতুবা আমাদের মানব-অধিকার নিরর্থক।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি। প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।