Wednesday 1 April 2020

কাম,ক্রোধ এবং লোভ নরকের দ্বার অবশ্যই।কিন্ত মানব জীবনে এইগুলোরও প্রয়োজন রয়েছে (আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-১০৪ প্রেরণা))[How to Improve Your Motivational Skill, Series-104(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ১০৪,PRERANA SERIES-104(Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।

ইমেজ ক্রেডিটঃ ফেসবুক 
তো যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে এখন মূল বিষয়ে ফিরে আসি।এই পৃথিবীরতে কোন কিছুই  অকারণে প্রদান সৃষ্টি হয় নি  ।সব কিছুরই কোন না কোন প্রয়োজন রয়েছে।এটা আমরা প্রথমে বুঝতে না পাড়লেও পরে ঠিকই উপলব্ধি করতে পারি।
গীতার শ্লোক অনুসারে কাম,ক্রোধ এবং লোভ নরকের দ্বার অবশ্যই।কিন্ত মানব জীবনে এইগুলোরও প্রয়োজন রয়েছে।ধর্ম-অধর্ম নির্ভর করে মানুষের কাজের উদ্দেশ্যের উপর।যদি উদ্দেশ্য সৎ থাকে তবে সকল কাজই বৈধ।আর উদ্দেশ্যই যদি অসৎ থাকে তবে সকল কাজই অবৈধ।যেমনঃ

কামঃ কামভাব শরীরে অনুভূত প্রবল চাহিদা, কামনা ও বাসনার একটি আবেগ বা অনূভূতি।কামভাব না থাকলে সম্পূর্ণ মানব সমাজ এমনকি এই প্রাণীজগৎও ধ্বংস হয়ে যেতো।আপনি,আমি,আমরা কেউ থাকতাম না।কামভাব সৃষ্টির  পেছনে কাজ করে মানুষের মনের চাহিদা/অনুভূতি।এখন আপনার মনের চাহিদা গুলো যদি ধর্মানুসারে হয়ে থাকে তবে আপনার সেই সাত্ত্বিক কামভাবও ধর্মোচিত।আর মনের চাহিদাগুলো যদি অসৎ হয় তাহলে আপনার সেই রাজসিক কামভাবও অধর্ম।ঈশ্বর প্রত্যেক নর-নারীর জন্যই পতি-পত্নি বৈধ করেছেন।এবং বিবাহ যজ্ঞকে শুধুমাত্র দুই দুই নারী-পুরুষের মিলন নয় বরং দুই আত্মার মিলনের যজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।অর্থাৎ বিবাহের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের সকল ইচ্ছা পরস্পরের মাধ্যমে পূর্ণ করবে এবং নিজেদের বংশকে তার পরবর্তী বংশধর প্রদান করে পৃথিবীতে নতুন প্রাণের জন্ম দিয়ে ইহলোক ও পরলোকে পুণ্য লাভ করবে।কিন্তু মনের চাহিদা যদি মন থেকে বেড়িয়ে মস্তিষ্কে বাসা বাধে এবং আপনার চিন্তাধারাকে বিকৃত করে দিয়ে আপনার চরিত্রকে নষ্ট করে দেয় ও অন্তিমে আপনার আধাত্মিক পথে বাধার সৃষ্টি করে সংযম নষ্ট করে দেয়।তবে সেই কামভাব অবশ্যই আপনাকে নরকের পথেই নিয়ে যাবে।

ক্রোধঃ সাধারনত তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ কে ক্রোধ বলে।এখন এই অসন্তোষ দুইভাবেই সৃষ্টি হতে পারে।কারও প্রতি হওয়া অন্যায় দেখে অথবা কারও সুখ/সফলতা দেখে।এই দুটির মাঝে কোনটি ধর্মোচিত আর কোনটি অধর্মোচিত সেটা নিশ্চয় ইত্যিমধ্যেই বুঝে গিয়েছেন।রাজা যখন কোন অপরাধীকে দন্ড প্রদান করেন।তখন অপরাধীর করা অন্যায়ের প্রতি অসন্তোষ হয়েই তাকে দন্ড প্রদান করেন।সুতরাং এই ক্ষেত্রে রাজার ক্রোধ ধর্মোচিত।রাজার মাঝে যদি ক্রোধভাব না থাকতো তাহলে সে অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতো যার ফলে সমাজে অপরাধ আরও বেড়ে যেতো।কিন্তু কারো সফলতা দেখে অথবা কোন কিছুর অপ্রাপ্তিতে যদি মনে ক্রোধের সৃষ্টি হয় তবে সেই ক্রোধ অবশ্যই আপনাকে নরকের দিকেই নিয়ে যাবে।

ইমেজ ক্রেডিটঃ ফেসবুক 
লোভঃ লোভের সৃষ্টি সাধারনত প্রত্যাশা/আকাঙ্ক্ষা থেকে।এই প্রত্যাশা বা আকাঙ্খা যদি না থাকতো তবে সমাজ এত সমৃদ্ধশালী হত না।মানুষ যখন নিজের আকাঙ্খা পূরণের জন্য অধিকার পরিশ্রম করে তার প্রত্যাশিত বস্ত লাভ করে তখন সেটা অবশ্যই অধর্মচিত।কিন্তু মানুষের অনের প্রত্যাশা দিন দিন বাড়তেই থাকে আর সেটা তখন তার সকল প্রত্যাশা অসৎ উপায়ে পূর্ণ করতে চায়,যেই বস্তুর উপর নিজের অধিকার নেই সেই বস্তু অধিকারী হতে ইচ্ছে হয়।তখন সেটাই হল লোভ।এই লোভ অবশ্যই আপনাকে নরকের পথেই নিয়ে যাবে।

অর্থাৎ যতক্ষন পর্যন্ত আপনার চাহিদা,অসন্তোষ এবং প্রত্যাশা আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্যই এগুলো বৈধ।কিন্তু তখনি সেগুলো আপনার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যেয়ে অনিয়ন্ত্রিত কাম,ক্রোধ এবং লোভের সৃষ্টি করবে যা আপনার এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর।সেই মুহূর্তেই কাম,ক্রোধ এবং লোভ আপনার জন্য নরকের দাড় হয়ে দাড়েবে।

ইমেজ ক্রেডিটঃ ফেসবুক 

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন 
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment