Saturday 29 February 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-৯০ (প্রেরণা) [How to Improve Your Motivational Skill, Series-90 (Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ ৯০,PRERANA SERIES-90 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।


বনের ভিতর এক হরিণীর সময় হলো সন্তান জন্ম দেওয়ার । তাই সে বনের ধারে যেয়ে নদীর পাশে ঘাস জমিতে সুন্দর একটা জায়গা খূঁজে বের করে নিল সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য । সময় কিছু পার হলো , তার প্রসব বেদনাও উঠলো । কিন্তু এই সময় হরিণীটির চার পাশে শুরু হলো বিপদ । হরিণীটি যখন উপরে তাকাল - দেখলো ঘনো মেঘ আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে । সে যখন জঙ্গলের দিকে তাকাল , দেখলো ঘনো জঙ্গলে হঠাৎ দাবানল শুরু হয়েছে । এর মাঝে সে টের পেল তার সামনে এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে । আর পিছনে ফিরে দেখলো - এক শিকারী তার দিকে তীর নিশানা করে আছে । এখন সে কি করবে ? দিশেহারা সময়টিতে দাবানল , নদীর স্রোত , সিংহ আর নির্দয় শিকারী দিয়ে চার দিক দিয়ে ঘিরে থাকা হরিণীটি তাই চুপচাপ কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবলো । তারপর সে তার সব বিপদ আপদ অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত নিলো যে সে তার সন্তান জন্ম দেবে । বিপদ আপদ যদি ঘটে ঘটুক । সেটির দায়িত্ব সে নিজের উপর আস্থা ও বিশ্বাস উপর  হাতে ছেড়ে দিলো ।সাথে সাথে কিছু মিরাকেল ঘটলো -কালো মেঘে ঢাকা আকাশে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো । সেই সাথে প্রচন্ড বজ্রপাতে শিকারীর চোখ অন্ধ হয়ে গেলো। অন্ধ শিকারী তীর ছুড়ে দিলো । সেই তীর হরিণীর পাশ কেটে সিংহের মাথায় আঘাত করলো । তুমুল বৃষ্টির জলে জঙ্গলের আগুন নিভে শান্ত হয়ে গেলো।  হরিণীটি একটি সুস্থ ও সুন্দর শাবকের জন্ম দিলো । 

আমাদের জীবনেও এরকম কিছু সময় আসে , চার দিক দিয়ে বিপদ , নিন্দা , হতাশা  , আর অসহযোগিতা চেপে ধরে আমাদের । কখনো কখনো এই খারাপ সময় এত শক্তিশালী মনে হয় যে আমরা পরিস্থিতির কাছে হার মেনে যাই । অথচ এটি ভুল । আর সেটা আমরা এই হরিণের গল্প থেকেই শিখে নিতে পারি । যখন হরিণীটির চারপাশে এত বিপদ ছিলো , তবু জীবন মৃত্যু যাই আসুক , সে বিপদের আশঙ্কায় নিজের লক্ষ্য থেকে এক বিন্দু সরে যায়নি । সে তার কাজ , অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেওয়াতেই নিজের সব মনোযোগ দিয়েছে । আর তখন বাকি সব বিপদ আপদ  নিজে থেকেই  সমাধান হয়ে গিয়েছে । যখন হতাশা গ্রাস করে , তখনো নিজের উপর  অগাধ বিশ্বাস রাখবে । জীবনের লক্ষ্যে স্থির থাকবে । আর কখনো লক্ষ্য থেকে এক বিন্দু পিছপা হবে না ।মনে রাখবে - তুমি  যত বড় ঝড়ের মাঝেই থাকো না কেন , যত নিঃসঙ্গই তুমি হও  না কেন , কোনো অবস্থাতেই  নিজের আস্থা ও বিশ্বাসকে ছেড়ে যাবে না ।
ভাগ্য হচ্ছে বর্ষার জলের মতো, আর পরিশ্রম হচ্ছে কুয়োর জলের মতো । বর্ষার জলে স্নান করাতো সহজ, কিন্তু রোজ রোজ আমরা বর্ষার জলের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা ঠিক তেমনি ভাগ্যের জোরে আমরা অনেক কিছু অতি সহজে তো পেয়ে যাই ঠিক , কিন্তু সবসময় আমরা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা। তাই কর্ম করে যাও, ফলের আশা করবে না

১. নিজেকে বিশ্বাস করো , নিজের লক্ষ্য তৈরি করো  এবং সেগুলি সম্পাদন করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও । তুমি  যখন নিজের লক্ষ্যগুলি পূরণ করবে  তখন এটি তোমার  আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে ।

২. সুখী , নিজেকে অনুপ্রাণিত করো , ব্যর্থতায় অসন্তুষ্ট হয়ো  না এবং এটি থেকে শেখ ,কারণ "অভিজ্ঞতা সবসময়ই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে আসে" 

৩. ইতিবাচক চিন্তা করো , বিনয়ী হও  এবং কিছু ভাল কাজ দিয়ে দিন শুরু করো। 

৪. এই পৃথিবীতে কিছুই অসম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাসের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ব্যর্থতার ভয় ।যদি তুমি এই ভয়কে দূরে সরাতে চাও তাহলে যে কাজটি তোমাকে ভীত করে তা অবিলম্বে করে ফেলো।  

৫. সত্য কথা বলো , সৎ হও , ধূমপান করবে না, প্রকৃতির সাথে জড়িত হও, ভাল কাজ করো , অভাবীদের সাহায্য করো । কারণ এই জাতীয় ক্রিয়াগুলি তোমাকে  অন্যায় কাজ এবং খারাপ অভ্যাসের থেকে দূরে থাকতে  ইতিবাচক শক্তি দেবে যা তোমাদের  আত্মবিশ্বাসকে সুদৃঢ় করবে ।

৬. তুমি  যে কাজটিতে আগ্রহী সে কাজটি করো  এবং তোমার  কেরিয়ারকে যেদিকে তুমি  আগ্রহী সেদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো ।

৭.বর্তমানে  থাকো , ইতিবাচক চিন্তা করো, ভাল বন্ধু করো, ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশা করো , স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করো ।

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন 
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
প্রেরণা সিরিজ -৭০

Thursday 27 February 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-৮৯ প্রেরণা) [How to Improve Your Motivational Skill, Series-89(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ৮৯,PRERANA SERIES-89(Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।


আমার ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন

জীবনে চলার পথে আমরা সবাই কখনো কখনো নিরাশ হই বা অসফল হই, কিন্তু বেশির  ভাগ লোকেই নিরাশ হওয়ার পর ভগ্যের দোষ দিয়ে বসে পড়ে । কেউ বলে, এখন যেখানে আছি, তার চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় থাকার যোগ্যতা ছিলো আমার। কিন্তু যেতে পারি নি, ভাগ্যের জন্য। কারো দূঃখ এই যে, তার যা পাবার কথা ছিলো, তা সে পায় নি, কেননা  তার  ভাগ্যই খারাপ ছিলো। তাহলে বিচার করো যে  কি  এই ভাগ্য ? বনে ফোটা ফুল কোনো দেবতার পায়ে যাবে,  না কোন স্ত্রীর চুলের খোঁপায় যাবে, এসব একটা ফুলের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিন্তু যতক্ষণ সেই ফুলের অস্তিত্ব আছে, ততক্ষণ সুবাস ছড়ানো তার বশে অবশ্যই আছে। সেই রকমই ভাগ্য, ভাগ্য আমাদের বশে নেই, আর যা আমাদের বশে নেই, তার জন্য দুঃখ করে কি লাভ। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের জীবন চলে আপন গতিতে। যে নিজের কর্ম শুদ্ধ ও সৎ পথে কঠোর পরিশ্রমেরে সঙ্গে  করে,  সে  সামনের দিকে  এগিয়ে যায় ও সফল হয়।

মনে রাখবে,জড় জাগতিক এই পৃথিবীটা আমার  বা তোমার  জন্য চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং যেতে একদিন হবেই। যাওয়ার আগে কিছু না কিছু ভালো কাজ করার চেষ্টা করো ।দেখবে, মনে ও শরীরে তৃপ্তি আসবে,সমাজে উঁচু  মুখ বা সম্মান নিয়ে বেঁচে  থাকতে পারবে। তোমার  ভেতরে যেটা আছে, তার সাথে কথা বলো । দেখবে কিছু না কিছু খুঁজে  পাবে, যেটাকে  বলে মনুষ্যত্ব। এই মনুষ্যত্ববোধ তোমাকে একদিন ভালো কিছু দেবে , পাবে সম্মান। এমন জীবন তুমি করো গঠন, মরনেও হাসবে তুমি, কাদিবে ভুবন। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ একদিন গ্রহন করতে হবে। তোমার কর্মের কাছে সব অহংকার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। অনেকে বলেন, নিষ্কাম কর্মে প্রণোদনা নেই, ইহা উদ্দেশ্য বিহীন। কিন্তু এটা  ঠিক নয়। কর্মেই সৃষ্টি, কর্মদ্বারাই সৃষ্টিরক্ষা, তাই প্রকৃতি সকলকেই কর্ম করান। জীবের কর্তব্য ফলের কথা না ভেবে কর্মটিকে নিষ্কামভাবে করতে । এই সংসারে না কেউ সঙ্গে করে কিছু  আনে, আর না কিছু  আনতে পারে। আমরা যা পাই তা এই জড় জাগতিক পৃথিবী থেকেই পাই। জড় জাগতিক এই পৃথিবী থেকে আমাদের মান, সম্মান, অর্থ, বাড়ি, গাড়ি, সম্পদ, পতি, পত্নি সব কিছুই প্রাপ্তি হয়। মানুষ এখান থেকে বিদায়ের সময়ও সাথে কিছুই  নিয়ে যেতে পারবে না। 

একজন নাপিত, সে রাজার বাড়ীতে কাজ করে , বাড়ীতে তার বৌ ও এক ছোট মেয়ে আছে , বেশ সুৃখেই তার দিন কাটছিল । একদিন রাজবাড়ীর কাজ শেষ করে সে বনের পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল , হঠাৎ এক গাছের নীচ দিয়ে আসার সময় গাছের উপর থেকে কে যেন বলল,"তুই_সাত_ঘড়া_মোহর_নিবি" ? সে তো মহা আনন্দে হ্যাঁ বলল, আর বাড়ীতে এসে দেখল ছয়  ঘড়া মোহর কাণায়-কাণায় ভর্তি, কিন্তু একটা ঘড়া  সামান্য ভর্তি হতে বাকি আছে।  সে ভাবল, ওটা আমি নিজেই ভর্তি করে দেব।  প্রতিমাসে সে প্রথমে একটা, পরে বাজার খরচ কমিয়ে দুটি করে মোহর রাখতে শুরু করল, এতে সে ভীষণ রোগা হয়ে গেল।  রাজা একদিন এর কারণ জিজ্ঞাসা করল ? সে বলল ,বাজারের যা অবস্থা , এই বেতনে চলছে না । রাজা তার বেতন দ্বিগুণ করে দিল, সে এখণ তিনটি করে মোহর ভরতে লাগল , কিন্তু ঘড়া কিছুতেই ভরছে না।  সে আরও রোগা হয়ে যেতে লাগল ,রাজা একদিন বলল," কিরে তোর বেতন তো দ্বিগুণ করে দিয়েছি, কিন্তু তুই তো আরো রোগা হয়ে যাচ্ছিস, কি ব্যাপার বলতো "? নাপিত চুপ করে আছে, রাজা বলল, "বুঝেছি তুই সাত ঘড়া মোহর পেয়েছিস, একটা ভর্তি হতে সামান্য বাকী , তুই সেইটা পূরণের চেষ্টা করছিস্ "। নাপিত বলল হ্যাঁ রাজা মশায়, রাজা বলল," তুৃৃই যদি বাঁচতে চাস, আজই ঘড়াগুলি ফেরৎ দে ,কারণ ওটা কোণদিনই পূর্ণ হবে না, ওটাই আমাদের কামনা বাসনা, যেটা কোনদিন পূর্ণ হওয়ার নয়, আমাদের কাছে যেটা আছে সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা বাঞ্ছনীয় ।সে গাছতলায় গিয়ে ঘড়াগুলি ফেরৎ দিয়ে, বহুদিন পরে ভালভাবে বাজার করে খাওয়া-দাওয়া করল, বাকী জীবনটা শান্তিতেই কাটালো। এই গল্পটি থেকে তুমি কি শিক্ষা পেলে--- আমাদের যতটুকু আছে , সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

Tuesday 25 February 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-৮৮(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-88(Prerana)]

প্রেরণা সিরিজ - ৮,PRERANA SERIES-88(Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।




হে মহিমান্বিত জীবশ্রেষ্ঠ বিবেকবান মানুষ। তোমরা তো সদা সর্বদা বিভিন্ন পরিবর্তনের উচ্চাকাঙ্খী হিসেবে নিজেদের রদবদল করেই চলেছো।হেঁটে যাবোনা চড়ে, চড়ে যাবোনা উড়িয়ে, উড়িয়ে আর কতক্ষণ তার বদলে যাবো মিলিয়ে। এগুলো তোমার ইচ্ছের পরিতৃপ্তি মাত্র। তুমি দুঃখ বা অভাবে পড়ো তোমার ইচ্ছেই তোমাকে প্রথম পরিহাস করবে,ইস টাকাগুলো খরচ হল বাইক নিলাম না কেন? শপিং করলাম না কেন? অথচ তুমি নিজে ভাঙ্গা খাটে আর তোমার ইচ্ছে শপিংমলে, শোরুমে কেনাকাটায় ব্যস্ত। এই পরিবর্তনের  চাপে জিন্সপ্যান্ট বায়না ধরলো সেও তৈরী থেকেই  পুরাতনে নতুন রূপ নিয়ে ছোটবাবুকে রুপে কাবু করবে। এই পরিবর্তন কি আদৌ মনের? নাকি ইচ্ছের বহিঃপ্রকাশ। ইচ্ছের বাহ্যিক পাতাগুলো উল্টিয়ে পরিবর্তন করছ ঠিকই কিন্তু আভ্যন্তরিক মনের পরিবর্তন করেছ কি? মনকে যদি কব্জা করতে না পার,তাহলে দরজা হয়ে দাড়িয়ে থাকাটা তোমার কাছে নূন্যতম শূন্যসমান।

ওহে চিন্তা,তোমার অবস্থান এত দৃঢ় যে,কোন প্রাণীকূল নেই,যার মধ্যে তোমার অবস্থান নেই। তুমি এত সক্রিয়ভাবে প্রতিটি জীবদেহে  অবস্থান করে তোমার স্বীয় কার্য সম্পাদন করছো,  ধর্মের জন্য নাকি ব্যাভিচারের জন্য? যে মনের সাথে তোমার এত অন্তরঙ্গতা সে তোমাকে ভুল পথে পরিচালনা করছে নাকি, তুমিই স্বয়ং বিকৃত পথ উৎরে দিচ্ছো? তুমি আসো  বলেই মনের সাথে তোমার এত অন্তরঙ্গতা। তুমি চাইলে ভালো কিছু প্রাপ্যতা নিয়ে আসতে পারো। কিন্তু তুমি বন্ধনের সুতোকে লাগামহীন ভাবে বিকৃত করে দিচ্ছ। তোমার অবস্থানের জানান অহংকার বিভীষিকাময় করে তুলছো।অথচ তোমার অবস্থান আছে, যতক্ষণ প্রাণ আছে। তুমিও সবকিছুর  উর্ধে নও। তুমি ইচ্ছে করলে সুবার্তা নিয়ে এসে জীবকুল ধন্য করে পূর্ণচন্দ্রে মনের সাথে বন্ধনের বিকাশ আরো দ্যূোতিময় করে স্বর্গের দ্বার উন্মুক্ত করে তুলতে পারো। এ ধরাকে মঙ্গলময়  করে গড়ে তুলতে পারো। প্রতিটি পথ সুন্দর সাবলীলভাবে গড়ে তুলতে পারো। সদচিন্তা হোক সর্বজনে, কুচিন্তা বিসর্জনে। 


খুব ছোট্ট এক ছেলে প্রচন্ড রাগী ছিলো। সে খুব সামান্য কারণেই রেগে যেত । তার বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে । প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো । পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলো তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ। শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো , এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো, 'তুমি খুব ভালভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্তগুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না। যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে তুমি যেন একটি পেরেক ঠুকলে পরবর্তিতে যদি তুমি তোমার কথা ফিরিয়েও নাও তখনও তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় থেকে যায়। তাই নিজের রাগকে  নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি হয় । 

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন 
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।