প্রেরণা সিরিজ - ৭৯,PRERANA SERIES-79(Motivational
& Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
দুর্বলতা মানুষ জন্ম থেকে অথবা কোনো দুর্ঘটনার মাধ্যমে প্রাপ্ত করে। কিন্তু দুর্বলতাকে মানুষের মন , নিজের অক্ষমতা বানিয়ে ফেলে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি এমনও হন, যারা নিজের পৌরুষ আর শ্রমের দ্বারা সেই দুর্বলতাকে পরাজিত করে দেন । কি বিভেদ আছে, এদের আর অন্য লোকেদের মধ্যে? অতি সরল উত্তর আছে এ প্রসঙ্গে , যে ব্যক্তিকে দুর্বলতা পরাজিত করতে পারে না , যে পৌরুষের প্রমাণ দেবার সাহস রাখে নিজের হৃদয়ে , সেই দুর্বলতাকে পার করে এগিয়ে যায়। অর্থাৎ দুর্বলতা তো ঈশ্বর প্রদান করেন, কিন্তু নিজের সীমা , সীমা তো মানুষ নিজেই নির্মিত করেন। জীবনের প্রতিক্ষণ , নির্ণয়ের ক্ষণ। প্রত্যেক পদে আগামী মুহূর্তের নির্ণয় করতে করতে যেতে হয়।, আর নির্ণয় , নির্ণয় নিজের প্রভাব রেখে যায়। আজকের নেওয়া নির্ণয় ভবিষ্যতের জন্য সুখ বা দুঃখ লিখে রেখে দেয় , না কেবল নিজের জন্য , নিজের পরিবারের জন্যও , আগামী প্রজন্মের জন্যও বটে । যখন কোন সমস্যা সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন মন ব্যাকুল হয়ে যায় আর অনিশ্চয়তায় ভরে যায়। নির্ণয়ের সেই ক্ষণ যা যুদ্ধে পরিণত হয় আর মন হয়ে উঠে যুদ্ধভূমি। অধিকাংশ নির্ণয় আমরা সমস্যা থেকে বার হবার জন্য নিই না , কেবল মনকে শান্ত করার জন্য নিয়ে থাকি । কিন্তু কেউ কি ছুটতে ছুটতে খাবার খেতে পারে? তবে কি যুদ্ধে যুজঁতে থাকা মন সঠিক নির্ণয় নিতে পারে? বাস্তবে শান্ত মনে যে ব্যক্তি নির্ণয় নেয়, সে নিজের জন্য সুখময় ভবিষ্যতের দান করতে পারেন। কিন্তু নিজের মনকে শুধু শান্ত করতেই যদি কেউ কোন নির্ণয় নেয়, তবে সে ব্যক্তি ভবিষ্যতে নিজের জন্য কাঁটাবৃক্ষ রোপণ করেন ।
সময়ের প্রারম্ভ থেকে মানুষকে একটি প্রশ্ন সদাই পীড়া দেয়, যে তারা নিজের সম্পর্ক গুলিতে অধিকতম সুখ আর নূন্যতম দুঃখ কিভাবে লাভ করতে পারে। আচ্ছা , আপনার সমস্ত সম্পর্ক কি আপনাকে সম্পূর্ণ সন্তোষ দিতে পেরেছে? আমাদের জীবন, সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়ে আছে , এ জীবনের সুরক্ষাও এই সম্পর্কের উপরে টিকে আছে, সেই কারণে আমাদের জীবনের সমস্ত সুখের আধারও এই সম্পর্ক। কিন্তু তবুও আমাদের সম্পর্কগুলি থেকেই বেশিরভাগ দুঃখের জন্ম কেন হয় ? সর্বদা সংঘর্ষ সম্পর্কগুলি থেকেই কেন উৎপন্ন হয়? যখন কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির চিন্তাধারা বা কাজকে স্বীকার করে না, তার ভেতরে কোনো পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে তখনই সংঘর্ষের জন্ম হয় অর্থাৎ যত অধিক অস্বীকার তত অধিক সংঘর্ষ , আর যত অধিগ্রহণ ক্ষমতা ততই অধিক সুখ। এটা বাস্তব নয় ? যদি মানুষ স্বয়ং নিজের প্রত্যাশার উপরে অঙ্কুশ টানে , নিজের বিচারধারা কে পাল্টায়, কোন অন্য ব্যক্তিকে পাল্টানোর চেষ্টা না করে স্বয়ং নিজের ভিতরে পরিবর্তন আনার প্রয়াস করতে থাকে, তবে কি সম্পর্কতে সন্তোষ লাভ করা খুব কঠিন হবে অর্থাৎ স্বীকার করে নেয়াই কি সম্পর্কের বাস্তবিক অর্থ নয় ?
কোনো কাজ করতে গিয়ে যদি তুমি বার বার হতাশ হয়ে যাও তাহলে সেই কাজের প্রতি তুমি অনুপ্রাণিত হবে কি করে? তুমি যত সেই কাজের সম্বন্ধে জানতে শুরু করবে ততই তুমি অনুপ্রাণিত হতে থাকবে । যতই তুমি সেই কাজের পজিটিভ দিকগুলোকে অনুসন্ধান করতে থাকবে , ততই তুমি অনুপ্রাণিত হবে । যখন কোনো মানুষ তোমায় এটা বলবে যে, তুমি এটা করতে পারবেনা , তখন সে শুধু তোমায় এটাই বলতে চাইছে যে, সে নিজে সেই কাজটা করতে কোনোদিনই পারবেনা। আমার লক্ষ্য, ভারত তথা বিশ্বের বুকে আনলিমিটেড লিডার্সদের তৈরী করা , সর্বদা শিখে যেতে হবে । যে শিখে যাচ্ছে সে জীবিত আছে আর যে শেখা বন্ধ করে দিয়েছে, সে একটা জ্যান্ত মৃতদেহ । ময়দান ছেড়ে চলে যেওনা; প্রতীক্ষাও করোনা, শুধু চলতে থাকো।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন ,এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিকমতমেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment