Wednesday 19 February 2020

আপনার অনুপ্রেরণামূলক দক্ষতা কীভাবে উন্নত করবেন, সিরিজ-৮৩(প্রেরণা)[How to Improve Your Motivational Skill, Series-83(Prerana)]


প্রেরণা সিরিজ - ৮৩,PRERANA SERIES-83(Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় 
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।




যখন নিজের কোনো ভালো কাজের বদলে দুঃখ লাভ হয় অথবা কেউ দুস্কর্ম করেও সুখলাভ করে তখন অবশ্যই এটা ভাবনায় আসে যে ভালো কর্ম করা আর অন্যায় পথে না চলার তাৎপর্য্য কি ? কিন্তু দুরাত্মাকে কি ভোগ করতে হয় সেটাও দেখুন , অন্যায়কারীর হৃদয় সর্বদা চঞ্চল থাকে ,ব্যাকুল হতে থাকে , মনে সর্বদা নতুন নতুন সংঘর্ষ উৎপন্ন হয়। অবিশ্বাস তাকে সারা জীবন ছোটাতে থাকে। একে  কি সুখ বলে ? যে ব্যক্তি সৎপথে থাকে , সুপথে চলে তার হৃদয় সর্বদা শান্ত থাকে। পরিস্থিতি তার জীবনে সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। সমাজে তার সন্মান অক্ষত থাকে সর্বদা।  অর্থাৎ ভালো ব্যবহার ভবিষ্যতের সুখের পথ দেখায় না , নিজেই সুখ দেয় অথবা দুর্ব্যবহার ভবিষ্যতের  মুহূর্তেই দুঃখকে উৎপন্ন করে। ধর্ম থেকে সুখ পাওয়া যায় না, ধর্মই স্বয়ং  সুখ। ক্ষমতার লালসা সবাইকেই ঘিরে থাকে , প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজের একটা রাজত্ব নির্মাণ করার চেষ্টা অবশ্যই করে।  সে রাষ্ট্র , কুরু রাষ্ট্রের মতো বৃহৎই হোক বা নিজের পরিবারই হোক , সে ক্ষমতা লাভ করার প্রয়াস  অবশ্যই করে। কিন্তু ক্ষমতার বাস্তবিক রূপ কি? একটি মানুষ যত  অধিক ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে , যত অধিক ব্যক্তির স্বতন্ত্রতার উপর অঙ্কুশ টানতে পারে , ততই অধিক ক্ষমতার অনুভব করে সে। ক্ষমতার প্রকৃত রূপই হলো অন্যের জীবনের উপর স্বয়ংয়ের প্রভাব। কিন্তু বাস্তবে প্রভাব প্রেম , দয়া, করুণা ও ধর্ম থেকে উৎপন্ন হয় না কি? যখন মানুষ কঠোরতা আর অধর্মের  মাধ্যমে অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করার প্রয়াস করে তখনি সেই অন্যের হৃদয়ে বিরোধিতা বা বিক্ষোভের জন্ম নেয়। এর পরিনাম কি? এর পরিণামে কিছু সময়ের জন্য সে তার ক্ষমতার অবশ্যই অনুভব করে কিন্তু তা বাস্তবিক ক্ষমতা নয়।  এই কারণেই ভৃগু আর বশিষ্টদের মতো ঋষিদের  আজও  পূজা করা হয়। রাবন বা হিরণ্যকশিপুর নয়। 

একটি শিশু যখন এই পৃথিবীতে জন্ম নেয় তখন সে সম্পূর্ণরূপে সংস্কার মুক্ত হয়। তখন তার অন্তরে না কোনো সুসংস্কারের চিহ্ন অঙ্কিত থাকে না কোনো অপসংস্কারের। অর্থাৎ জন্মের সময় না কোনো বালকের গুণ থাকে না কোনো দোষ।  তবে দোষ অথবা গুণ কিসের ভিত্তিতে লাভ হয়?  যে কথা মাতা-পিতার মুখে নিরন্তর শোনা যায় সেইসব কথাই তাদের হৃদয়ে সংস্কারের রূপ নেয়। যেমন কোন গ্রামে নদীর তীরে একটা আলপথ নির্মিত হয় , সেই পথে বার বার চলার দরুন। অর্থাৎ মাতা-পিতার হৃদয়ের ইচ্ছাই তাদের সন্তানের দোষ  অথবা গুণ  হযে জন্ম নেয়। কিন্তু তবুও যখন সন্তানের মধ্যে কোনো দোষ দেখা যায় তখন মাতা-পিতা আশ্চর্য্য ও দুঃখিত হয়ে পড়েন।  মাতা-পিতা নিজেদের হৃদয়ে এই প্রশ্নই করেন যে, তাদের সন্তানের মধ্যে এই অপসংস্কার এলো কেমন করে? সত্যতো  এটাই ,যে মাতা-পিতা নিজেদের অজান্তেই সন্তানের অন্তরে অপসংস্কারের বীজ রোপন করে, যা তাদের সন্তানের হৃদয়ভূমিতে কুশিক্ষার বৃক্ষ হয়ে মাথা তোলে। অর্থাৎ নিজের সন্তানদের সুসংস্কার আর ধর্মপরায়ন করে তোলার আশা রাখে যে মাতা-পিতা  তাদের সর্বপ্রথম নিজেদের হৃদয়ের ইচ্ছার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটা কি অনিবার্য্য নয়?  মানুষের এই স্বভাব যে সে স্বয়ং  নিজের পরিবারকে  , সন্তানদের  অধিকতর সুখ লাভ হোক  এই প্রচেষ্টা করে। সেই কারণেই আমরা সদা কষ্ট আর শ্রম থেকে দূরে থাকতে চাই। বিশ্রাম আর বিলাসবহুল জীবন ধারনের প্রয়াস করি। স্বয়ং নিজের জীবনকেই দেখুন।  এটা কি সঠিক  যে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য সর্বদা আরাম ও স্বাচ্ছন্দের আয়োজন করতে চাই। কিন্তু কখনোও ভেবেছেন যে ওদের আরাম বা বিশ্রাম থেকে কি ফল লাভ হয়? যারা ওই সুখ আর স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করে তাদের জীবন  কেমন হয় ? তারা  যখন পরিশ্রম করে তখন তারা দৈহিক ভাবে সুষ্ঠ থাকে।  যখন তারা কোনো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয় তখন তাদের বুদ্ধি বৃদ্ধি ঘটে এবং আরো তেজস্বী হয়ে ওঠে। 


জ্ঞান প্রাপ্তি সর্বদা সমর্পনের মাধ্যমেই হয় , এ আমরা  সকলেই জানি কিন্তু সমর্পনের বাস্তবিক গুরুত্ব  কি ? মানুষের মন সর্বদা জ্ঞান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানান বাধার সৃষ্টি করে। কখনো কোনো অন্য বিদ্যার্থীর   প্রতি ঈর্ষা জন্মায়, কখনও গুরুর  শেখানো পাঠের উপর সন্দেহ উৎপন্ন হয়, আবার কখনও গুরুর দেওয়া কোনো কোনো শাস্তি মনকে অহংকারে ভরিয়ে তোলে। নানান সময় নানারকম চিন্তা মনকে ব্যাকুল করে তোলে , আর মনের এমন অশান্ত স্থিতির কারনে আমরা জ্ঞান লাভ করতে পারি না। মনের সঠিক স্থিতি কেবল সমর্পন থেকেই লাভ হয়। সমর্পন  মানুষের অহংকারকে নাশ করে।  ঈর্ষা ,উচ্চাকাঙ্খা এইসব দূর করে আপনাকে শান্ত করে , আর মনকে একাগ্র করে। বাস্তবে জগতের  সৃষ্টিতে না জ্ঞানের অভাব আছে না জ্ঞানী ব্যাক্তির। গুরু  দত্তাত্রেয় তো  গাভী  থেকেও  জ্ঞান লাভ করেছিলেন। অর্থাৎ বিষয় ব্রহ্ম জ্ঞানের হোক বা জীবনের জ্ঞানেরই হোক অথবা গুরুকুলে লাভ  করা জ্ঞানই হোক  তা গুরুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  হলো  সেই গুরুর প্রতি আমাদের সমর্পন। 

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটাতা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানিপ্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন। 
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে। 

মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।

No comments:

Post a Comment