প্রেরণা সিরিজ - ৯০,PRERANA SERIES-90 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
বনের ভিতর এক হরিণীর সময় হলো সন্তান জন্ম দেওয়ার । তাই সে বনের ধারে যেয়ে নদীর পাশে ঘাস জমিতে সুন্দর একটা জায়গা খূঁজে বের করে নিল সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য । সময় কিছু পার হলো , তার প্রসব বেদনাও উঠলো । কিন্তু এই সময় হরিণীটির চার পাশে শুরু হলো বিপদ । হরিণীটি যখন উপরে তাকাল - দেখলো ঘনো মেঘ আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে । সে যখন জঙ্গলের দিকে তাকাল , দেখলো ঘনো জঙ্গলে হঠাৎ দাবানল শুরু হয়েছে । এর মাঝে সে টের পেল তার সামনে এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে এগিয়ে আসছে । আর পিছনে ফিরে দেখলো - এক শিকারী তার দিকে তীর নিশানা করে আছে । এখন সে কি করবে ? দিশেহারা সময়টিতে দাবানল , নদীর স্রোত , সিংহ আর নির্দয় শিকারী দিয়ে চার দিক দিয়ে ঘিরে থাকা হরিণীটি তাই চুপচাপ কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবলো । তারপর সে তার সব বিপদ আপদ অগ্রাহ্য করে সিদ্ধান্ত নিলো যে সে তার সন্তান জন্ম দেবে । বিপদ আপদ যদি ঘটে ঘটুক । সেটির দায়িত্ব সে নিজের উপর আস্থা ও বিশ্বাস উপর হাতে ছেড়ে দিলো ।সাথে সাথে কিছু মিরাকেল ঘটলো -কালো মেঘে ঢাকা আকাশে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হলো । সেই সাথে প্রচন্ড বজ্রপাতে শিকারীর চোখ অন্ধ হয়ে গেলো। অন্ধ শিকারী তীর ছুড়ে দিলো । সেই তীর হরিণীর পাশ কেটে সিংহের মাথায় আঘাত করলো । তুমুল বৃষ্টির জলে জঙ্গলের আগুন নিভে শান্ত হয়ে গেলো। হরিণীটি একটি সুস্থ ও সুন্দর শাবকের জন্ম দিলো ।
আমাদের জীবনেও এরকম কিছু সময় আসে , চার দিক দিয়ে বিপদ , নিন্দা , হতাশা , আর অসহযোগিতা চেপে ধরে আমাদের । কখনো কখনো এই খারাপ সময় এত শক্তিশালী মনে হয় যে আমরা পরিস্থিতির কাছে হার মেনে যাই । অথচ এটি ভুল । আর সেটা আমরা এই হরিণের গল্প থেকেই শিখে নিতে পারি । যখন হরিণীটির চারপাশে এত বিপদ ছিলো , তবু জীবন মৃত্যু যাই আসুক , সে বিপদের আশঙ্কায় নিজের লক্ষ্য থেকে এক বিন্দু সরে যায়নি । সে তার কাজ , অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেওয়াতেই নিজের সব মনোযোগ দিয়েছে । আর তখন বাকি সব বিপদ আপদ নিজে থেকেই সমাধান হয়ে গিয়েছে । যখন হতাশা গ্রাস করে , তখনো নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস রাখবে । জীবনের লক্ষ্যে স্থির থাকবে । আর কখনো লক্ষ্য থেকে এক বিন্দু পিছপা হবে না ।মনে রাখবে - তুমি যত বড় ঝড়ের মাঝেই থাকো না কেন , যত নিঃসঙ্গই তুমি হও না কেন , কোনো অবস্থাতেই নিজের আস্থা ও বিশ্বাসকে ছেড়ে যাবে না ।
ভাগ্য হচ্ছে বর্ষার জলের মতো, আর পরিশ্রম হচ্ছে কুয়োর জলের মতো । বর্ষার জলে স্নান করাতো সহজ, কিন্তু রোজ রোজ আমরা বর্ষার জলের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা। ঠিক তেমনি ভাগ্যের জোরে আমরা অনেক কিছু অতি সহজে তো পেয়ে যাই ঠিক , কিন্তু সবসময় আমরা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে থাকতে পারিনা। তাই কর্ম করে যাও, ফলের আশা করবে না।
১. নিজেকে বিশ্বাস করো , নিজের লক্ষ্য তৈরি করো এবং সেগুলি সম্পাদন করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হও । তুমি যখন নিজের লক্ষ্যগুলি পূরণ করবে তখন এটি তোমার আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে ।
২. সুখী হও, নিজেকে অনুপ্রাণিত করো , ব্যর্থতায় অসন্তুষ্ট হয়ো না এবং এটি থেকে শেখ ,কারণ "অভিজ্ঞতা সবসময়ই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে আসে" ।
৩. ইতিবাচক চিন্তা করো , বিনয়ী হও এবং কিছু ভাল কাজ দিয়ে দিন শুরু করো।
২. সুখী হও, নিজেকে অনুপ্রাণিত করো , ব্যর্থতায় অসন্তুষ্ট হয়ো না এবং এটি থেকে শেখ ,কারণ "অভিজ্ঞতা সবসময়ই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে আসে" ।
৩. ইতিবাচক চিন্তা করো , বিনয়ী হও এবং কিছু ভাল কাজ দিয়ে দিন শুরু করো।
৪. এই পৃথিবীতে কিছুই অসম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাসের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ব্যর্থতার ভয় ।যদি তুমি এই ভয়কে দূরে সরাতে চাও তাহলে যে কাজটি তোমাকে ভীত করে তা অবিলম্বে করে ফেলো।
৫. সত্য কথা বলো , সৎ হও , ধূমপান করবে না, প্রকৃতির সাথে জড়িত হও, ভাল কাজ করো , অভাবীদের সাহায্য করো । কারণ এই জাতীয় ক্রিয়াগুলি তোমাকে অন্যায় কাজ এবং খারাপ অভ্যাসের থেকে দূরে থাকতে ইতিবাচক শক্তি দেবে যা তোমাদের আত্মবিশ্বাসকে সুদৃঢ় করবে ।
৬. তুমি যে কাজটিতে আগ্রহী সে কাজটি করো এবং তোমার কেরিয়ারকে যেদিকে তুমি আগ্রহী সেদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো ।
৭.বর্তমানে থাকো , ইতিবাচক চিন্তা করো, ভাল বন্ধু করো, ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশা করো , স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করো ।
৫. সত্য কথা বলো , সৎ হও , ধূমপান করবে না, প্রকৃতির সাথে জড়িত হও, ভাল কাজ করো , অভাবীদের সাহায্য করো । কারণ এই জাতীয় ক্রিয়াগুলি তোমাকে অন্যায় কাজ এবং খারাপ অভ্যাসের থেকে দূরে থাকতে ইতিবাচক শক্তি দেবে যা তোমাদের আত্মবিশ্বাসকে সুদৃঢ় করবে ।
৬. তুমি যে কাজটিতে আগ্রহী সে কাজটি করো এবং তোমার কেরিয়ারকে যেদিকে তুমি আগ্রহী সেদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করো ।
৭.বর্তমানে থাকো , ইতিবাচক চিন্তা করো, ভাল বন্ধু করো, ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশা করো , স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করো ।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন ।
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে ।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
প্রেরণা সিরিজ -৭০
No comments:
Post a Comment