প্রেরণা সিরিজ - ৮৯,PRERANA SERIES-89(Motivational
& Inspirational)
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
আমার ওয়েবসাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
জীবনে চলার পথে আমরা সবাই কখনো কখনো নিরাশ হই বা অসফল হই, কিন্তু বেশির ভাগ লোকেই নিরাশ হওয়ার পর ভগ্যের দোষ দিয়ে বসে পড়ে । কেউ বলে, এখন যেখানে আছি, তার চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় থাকার যোগ্যতা ছিলো আমার। কিন্তু যেতে পারি নি, ভাগ্যের জন্য। কারো দূঃখ এই যে, তার যা পাবার কথা ছিলো, তা সে পায় নি, কেননা তার ভাগ্যই খারাপ ছিলো। তাহলে বিচার করো যে কি এই ভাগ্য ? বনে ফোটা ফুল কোনো দেবতার পায়ে যাবে, না কোন স্ত্রীর চুলের খোঁপায় যাবে, এসব একটা ফুলের নিয়ন্ত্রণে নেই, কিন্তু যতক্ষণ সেই ফুলের অস্তিত্ব আছে, ততক্ষণ সুবাস ছড়ানো তার বশে অবশ্যই আছে। সেই রকমই ভাগ্য, ভাগ্য আমাদের বশে নেই, আর যা আমাদের বশে নেই, তার জন্য দুঃখ করে কি লাভ। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের জীবন চলে আপন গতিতে। যে নিজের কর্ম শুদ্ধ ও সৎ পথে কঠোর পরিশ্রমেরে সঙ্গে করে, সে সামনের দিকে এগিয়ে যায় ও সফল হয়।
মনে রাখবে,জড় জাগতিক এই পৃথিবীটা আমার বা তোমার জন্য চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং যেতে একদিন হবেই। যাওয়ার আগে কিছু না কিছু ভালো কাজ করার চেষ্টা করো ।দেখবে, মনে ও শরীরে তৃপ্তি আসবে,সমাজে উঁচু মুখ বা সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। তোমার ভেতরে যেটা আছে, তার সাথে কথা বলো । দেখবে কিছু না কিছু খুঁজে পাবে, যেটাকে বলে মনুষ্যত্ব। এই মনুষ্যত্ববোধ তোমাকে একদিন ভালো কিছু দেবে , পাবে সম্মান। এমন জীবন তুমি করো গঠন, মরনেও হাসবে তুমি, কাদিবে ভুবন। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ একদিন গ্রহন করতে হবে। তোমার কর্মের কাছে সব অহংকার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। অনেকে বলেন, নিষ্কাম কর্মে প্রণোদনা নেই, ইহা উদ্দেশ্য বিহীন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কর্মেই সৃষ্টি, কর্মদ্বারাই সৃষ্টিরক্ষা, তাই প্রকৃতি সকলকেই কর্ম করান। জীবের কর্তব্য ফলের কথা না ভেবে কর্মটিকে নিষ্কামভাবে করতে । এই সংসারে না কেউ সঙ্গে করে কিছু আনে, আর না কিছু আনতে পারে। আমরা যা পাই তা এই জড় জাগতিক পৃথিবী থেকেই পাই। জড় জাগতিক এই পৃথিবী থেকে আমাদের মান, সম্মান, অর্থ, বাড়ি, গাড়ি, সম্পদ, পতি, পত্নি সব কিছুই প্রাপ্তি হয়। মানুষ এখান থেকে বিদায়ের সময়ও সাথে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না।
মনে রাখবে,জড় জাগতিক এই পৃথিবীটা আমার বা তোমার জন্য চিরস্থায়ী নয়। সুতরাং যেতে একদিন হবেই। যাওয়ার আগে কিছু না কিছু ভালো কাজ করার চেষ্টা করো ।দেখবে, মনে ও শরীরে তৃপ্তি আসবে,সমাজে উঁচু মুখ বা সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। তোমার ভেতরে যেটা আছে, তার সাথে কথা বলো । দেখবে কিছু না কিছু খুঁজে পাবে, যেটাকে বলে মনুষ্যত্ব। এই মনুষ্যত্ববোধ তোমাকে একদিন ভালো কিছু দেবে , পাবে সম্মান। এমন জীবন তুমি করো গঠন, মরনেও হাসবে তুমি, কাদিবে ভুবন। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ একদিন গ্রহন করতে হবে। তোমার কর্মের কাছে সব অহংকার ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। অনেকে বলেন, নিষ্কাম কর্মে প্রণোদনা নেই, ইহা উদ্দেশ্য বিহীন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কর্মেই সৃষ্টি, কর্মদ্বারাই সৃষ্টিরক্ষা, তাই প্রকৃতি সকলকেই কর্ম করান। জীবের কর্তব্য ফলের কথা না ভেবে কর্মটিকে নিষ্কামভাবে করতে । এই সংসারে না কেউ সঙ্গে করে কিছু আনে, আর না কিছু আনতে পারে। আমরা যা পাই তা এই জড় জাগতিক পৃথিবী থেকেই পাই। জড় জাগতিক এই পৃথিবী থেকে আমাদের মান, সম্মান, অর্থ, বাড়ি, গাড়ি, সম্পদ, পতি, পত্নি সব কিছুই প্রাপ্তি হয়। মানুষ এখান থেকে বিদায়ের সময়ও সাথে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না।
একজন নাপিত, সে রাজার বাড়ীতে কাজ করে , বাড়ীতে তার বৌ ও এক ছোট মেয়ে আছে , বেশ সুৃখেই তার দিন কাটছিল । একদিন রাজবাড়ীর কাজ শেষ করে সে বনের পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিল , হঠাৎ এক গাছের নীচ দিয়ে আসার সময় গাছের উপর থেকে কে যেন বলল,"তুই_সাত_ঘড়া_মোহর_নিবি" ? সে তো মহা আনন্দে হ্যাঁ বলল, আর বাড়ীতে এসে দেখল ছয় ঘড়া মোহর কাণায়-কাণায় ভর্তি, কিন্তু একটা ঘড়া সামান্য ভর্তি হতে বাকি আছে। সে ভাবল, ওটা আমি নিজেই ভর্তি করে দেব। প্রতিমাসে সে প্রথমে একটা, পরে বাজার খরচ কমিয়ে দুটি করে মোহর রাখতে শুরু করল, এতে সে ভীষণ রোগা হয়ে গেল। রাজা একদিন এর কারণ জিজ্ঞাসা করল ? সে বলল ,বাজারের যা অবস্থা , এই বেতনে চলছে না । রাজা তার বেতন দ্বিগুণ করে দিল, সে এখণ তিনটি করে মোহর ভরতে লাগল , কিন্তু ঘড়া কিছুতেই ভরছে না। সে আরও রোগা হয়ে যেতে লাগল ,রাজা একদিন বলল," কিরে তোর বেতন তো দ্বিগুণ করে দিয়েছি, কিন্তু তুই তো আরো রোগা হয়ে যাচ্ছিস, কি ব্যাপার বলতো "? নাপিত চুপ করে আছে, রাজা বলল, "বুঝেছি তুই সাত ঘড়া মোহর পেয়েছিস, একটা ভর্তি হতে সামান্য বাকী , তুই সেইটা পূরণের চেষ্টা করছিস্ "। নাপিত বলল হ্যাঁ রাজা মশায়, রাজা বলল," তুৃৃই যদি বাঁচতে চাস, আজই ঘড়াগুলি ফেরৎ দে ,কারণ ওটা কোণদিনই পূর্ণ হবে না, ওটাই আমাদের কামনা বাসনা, যেটা কোনদিন পূর্ণ হওয়ার নয়, আমাদের কাছে যেটা আছে সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা বাঞ্ছনীয় ।সে গাছতলায় গিয়ে ঘড়াগুলি ফেরৎ দিয়ে, বহুদিন পরে ভালভাবে বাজার করে খাওয়া-দাওয়া করল, বাকী জীবনটা শান্তিতেই কাটালো। এই গল্পটি থেকে তুমি কি শিক্ষা পেলে--- আমাদের যতটুকু আছে , সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment