প্রেরণা সিরিজ - ১০৯,PRERANA
SERIES-109 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্ৰদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের
সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে,করে দেবে এবং ডানদিকের উপরের কোনে অনুসরণ বাটন অবশ্যই ক্লিক করে অনুসরণ করবে।শুরু করছি আজকের বিষয় । নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ
তোমাদের সবাইকে আমার এই
Pkrnet Blog এ স্বাগতম।
আশা করি সবাই তোমরা
ভালোই আছো
আর সুস্থ আছো।
জীবনে কখনো কাউকে ছোট মনে করবেন না, মনে রাখবেন,পায়ের নিচের দূর্বাঘাসটাই পুজোতে লাগে, মাথার ওপরের তালগাছটা নয়। সকল সংগ্ৰহের অন্ত হল বিনাশ,লৌকিক উন্নতির অন্ত হল পতন,সংযোগের অন্ত হলো বিয়োগ,জীবনের অন্ত হল মরন। যা বিয়োগ তা থেকে সুখ কেমন করে পাওয়া যাবে, সুখ ও দুঃখ থাকার নয়, যাওয়া আসা এই ভবে।যার সংযোগ হয় তার বিয়োগ ও হয়, সংযোগ ভোগ একই কথা,সম্মান পেলে সন্তুষ্ট হন,অপমানে পান শুধু ব্যাথা।
মৃত্যুর পশ্চাতে দেহকে নষ্ট করা হয় কেন? বাস্তবে না মানুষের পরিচয় দেহের সাথে যুক্ত থাকে, না তো সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে থাকে। মানুষের স্বভাব,তার আচরণ আর তার কার্যই তার আসল পরিচয়। এই স্বভাব,আচরণ আর কার্য কিরূপে তৈরি হয় তাকে বিঝতে হবে। মানুষের জীবন কেবল দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান পদার্থের মিলন মাত্র। কিন্তু তথাপি প্রত্যেক মানুষের স্বভাব তথা কার্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপন্ন হয় এর কারন হল সৃষ্টির তিন গুন-তম,রজ আর সত্য। তম শব্দের অর্থ অন্ধকার , ভাল মন্দ বিচার ব্যাতীত জীবন নির্বাহ করাকে তামসিক আচরণ বলা হয়ে থাকে। যেরূপে পশুপাখি বেঁচে থাকে। কেবল মাত্র শারীরিক ইচ্ছাকে পূর্ণ করার জন্য সত্য শব্দের অর্থ জ্ঞানের প্রকাশ যখন ব্যক্তি প্রতিটি পরিস্থিতে ধর্মের সত্যের আর পরম্পরার বিচার করে ব্যবহার করে থাকে তখন তাকে স্বাত্বিক জীবন বলা হয়। এই দুয়ের অন্ত:স্থলেও এক প্রকারের ব্যক্তি থাকে যার নিকট জ্ঞান তো আছে কিন্তু শরীর আর মনের বাসনার সাথে আবদ্ধও রয়েছে , এরূপ ব্যাক্তি রজগুন অর্থাৎ অহংকারপূর্ন মন নিয়ে বেঁচে থাকে। তম রজ অথবা সত্য গুনের অধিক অথবা স্বল্পমাত্রার মিল বন্ধনে মানুষের স্বভাব তৈরি হয়।
বর্তমান জগতে মানুষের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা দেখা যায়, তা অতি কৃত্রিম। তাতে থাকে না কোনো আন্তরিকতা, থাকে শুধু কপটতা আর স্বার্থপরতা। এ ভালোবাসা শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। বর্তমানে এ জগতের রথ চলছে মিথ্যা ও ছল নামক ইন্ধনের দ্বারা। এ রথে যারা চলছে, তাদের প্রকৃত মানুষ বলা যায় না। তাদের ভণ্ডামির জন্য বর্তমান মানবসমাজ ধূলিসাৎ হচ্ছে। এ ধূলিসম অবস্থা থেকে উঠে আসার জন্য চাই প্রকৃত স্নেহ ও ভালোবাসা, যার দ্বারা আমরা এ বিশ্বের মানুষের মন জয় করতে পারব। একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠার জন্য নিজের ভাবাধারার পরিবর্তন ঘটানো একান্ত প্রয়োজন। যে ব্যক্তি জগতের সব ব্যক্তিকে নিজের বন্ধু, ভাই, পিতা ও নারীদের নিজের বোন, মা হিসেবে দেখেন, সে ব্যক্তিই প্রকৃত মানুষ। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশই স্বার্থপর। এ কারণেই বর্তমানে মানুষ অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যতই উন্নতি করি না কেন, প্রকৃত মানুষ না হতে পারলে এ উন্নতির কোনো মূল্য নেই।
এ জগতের বাহ্যিক রূপ অতি সুন্দর; কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ রূপ বড়ই জটিল। অনেক সময় বিভ্রান্তিকর মরীচিকার মতো। মানুষও জগতের মতোই। তারা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, লিপ্সা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য অন্যকে মিথ্যা প্রলোভনে বিভ্রান্ত করে। এটি মনুষ্যত্ব নয়। এটি ভীষণ পরিতাপের বিষয়। সময় থাকতে আমরা যদি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে না পারি, তাহলে আমাদের পতন নিশ্চিত। এ পতন থেকে উঠে দাঁড়াতে হলে আমাদের অন্তর-আত্মাকে উন্নত করতে হবে। আমাদের স্বার্থপরতা বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে। তা হলেই মিলবে আমাদের মুক্তি, নতুবা আমাদের মানব-অধিকার নিরর্থক।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment