প্রেরণা সিরিজ - ৪৬ , PRERANA SERIES - 46 (Motivational &
Inspirational)
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে, করে দেবে। শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
যদি কখনও বুঝতে পারো যে তুমি প্রায়ই রাগারাগি করছো সেক্ষেত্রে তুমি একটা ডায়েরি মেন্টেন করো। কখন কেন তুমি রাগ করছো তা লিখে রাখ। এভাবে লিখে রাখলে একটা প্যাটার্ন তুমি নিজেই বুঝতে পারবে। কেউ হয়তো দেখবে যে তুমি 'না' বলতে পার না, তাই খুব বেশি এক্সপ্লয়টেড হও , কেউ হয়তো দেখবে কোনো কিছুতে বাধা পেলে রেগে যাও । কেউ হয়তো সমালোচনা করলে রেগে যাও। এই সবেরই মোকাবিলা করা সম্ভব । যেমন,যে কাউকে 'না' বলতে পারে না , তাকে আসারটিভনেস শিখতে হবে। তাকে বুঝতে হবে সবাইকে কখনো খুশি করা যায় না। দরকার হলে 'না' বলতে হবে। সবাইকে খুশি করতে হলে এক্সপ্লয়টেড হবে এবং রাগ বাড়বে।
যারা নরম স্বভাবের তাদের অনেক আঘাত পেতে হয়। সইতে সইতে সে অনেক সময় রাগী হয়ে যায়। খারাপ ব্যবহার করা ঠিক নয় , খিটখিটে হলে বন্ধুহীন হতে হয়। কিন্তু অকারণে কেউ আঘাত করলে হিট ব্যাক করা উচিত। কারন মনকে শান্ত করতে না পারলে তুমি লক্ষ্যভ্ৰষ্ট হতে পারো এবং তার ফলে সাফল্য তোমার অধরা থেকে যেতে পারে।
- একাকীত্ববোধ 'আমাকে কেউ বুঝছে না,সবাই ভুল বুঝছে '--এরকম মনোভাব থেকেই রাগের জন্ম নেয়। এই ধরনের মনোভাব বাড়তে দেওয়া উচিত নয়।
- রাগ হলে প্রিয় গান শোনো, হাসির বই পড়ো বা টিভিতে হাসির অনুষ্ঠান দেখো।
- মনের ক্ষোভ সবার কাছে প্রকাশ করো না, বিশেষত অপাত্রে। তবে এমন কেউ যেন থাকে , যার কাছে সব ক্ষোভ উজাড় করে দিতে পারো। তারা হতে পারে মা বা বাবা, হতে পারে কোনো বিশেষ বন্ধু বা কোনো আত্মীয়।
- রাগ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থান ছেড়ে চলে যাও এবং রাগ পড়লে আবার সেই স্থানে এস।
- রাগ কমাতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা খুব জরুরি , বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে।
- রিল্যাক্সশেসন , মেডিটেশন ইত্যাদি রাগ কমাতে দারুন সাহায্য করে।
- অনেকের রাগ শারীরিক ভাবে প্রকাশ না করলে কমে না। তাদের পানচিং ব্যাগে ঘুষি মারা উচিত , না হলে কিন্তু অঘটন ঘটতে পারে।
![]() |
The Definitive B Ch Chatterjee |
যদি কখনও ঝগড়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তখন তোমার বাবা-মা, দাদা-দিদি বা শিক্ষক মশায় রেগে থাকবেন। তখন তোমার কথা আগুনে ঘিয়ের কাজ করবে। এই কারনে ধৈর্য্য বজায় রেখে ঐ সময় কোনো কথা বোলো না, রাগ কমার পর তোমার বাবা-মা, দাদা-দিদি বা শিক্ষক মশায় পস্তাবে তোমার প্রতি অযথা রাগ দেখানোর জন্য আর এতে তুমি গর্ববোধ করবে। চুপ করে থাকার সিদ্ধান্ত জীবনে বিবাদ কমাতে সাহায্য করবে।
সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, এ পি জে আব্দুল কালাম বলেছিলেন,'বৃষ্টি শুরু হলে সব পাখিই কোথাও না কোথাও আশ্রয় খোঁজে। কিন্তু ঈগল মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে বৃষ্টিকে এড়িয়ে যায়। আমি সুপুরুষ নই। কিন্তু যখন কেউ বিপদে পড়েন আমি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। সৌন্দর্য থাকে মানুষের মনে, চেহারায় নয়। তিনজনই পারেন একটি দেশ বা জাতিকে বদলাতে। তাঁরা হলেন, বাবা, মা ও শিক্ষক। জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যে এতো আনন্দ। যে হৃদয় দিয়ে কাজ করে না, শূন্যতা ছাড়া সে কিছুই অর্জন করতে পারে না'।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment