প্রেরণা সিরিজ - ৫৪ , PRERANA SERIES - 54 (Motivational &
Inspirational)
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে, করে দেবে। শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
|
অভিবাবকদের প্রতি - ২
ভালো বাবা-মা হতে গেলে নিচে লেখা জিনিসগুলি এড়িয়ে চলুন--
১) ভাই-বোনের মধ্যে কখনোও পক্ষপাতিত্ব করবেন না।
২) দুই ছেলে বা মেয়ের মধ্যে কখনোই তুলনা করবেন না।
৩) নিজেদের হতাশা, দুঃখ , রাগের জের কখনোই সন্তানদের উপর চাপাবেন না।
৪) ছেলে মেয়েদের কোনো অসুবিধার কথা জানলে অবশ্যই তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুন।
৫) সন্তানদের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া উচিত নয়।
৬) মারধর করা বা অন্ধকার ঘরে বন্ধ করে রাখা ইত্যাদি করবেন না।
৭) অবস্থার চাপে সন্তানদের উপর দোষ চাপাবেন না।
ভালো বাবা-মা হতে গেলে নিচে লেখা জিনিসগুলি পালন করতে চেষ্টা করুন --
১) ছোটবেলা থেকেই স্কুল আর বাড়িতে পড়াশোনা নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না।
২) স্কুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
৩) ছেলে-মেয়েদের দক্ষতা এবং দুর্বলতার জায়গাগুলি চিহ্নিত করুন।
৪) ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়মিত কথাবলা বা তাদের গতিবিধি সম্পর্কে সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি। বড়ো হয়ে গেলে তাদের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
৫) অভিভাবকত্ব একটি কর্তব্য। নিজেদের ব্যবসা বা চাকরিতে যেমন সময় দেন, ঠিক সেইভাবেই ছেলে-মেয়েদেরকেও নিয়মিত সময় দিন।
৬) বাড়িতে পড়ার পরিবেশ গড়ে তুলুন। বাবা-মা যদি কখনোও কিছুই না পরে শুধু টি.ভি দেখে বা অন্যান্য বিনোদনে মেতে থাকে, তাতে সন্তানেরাও পড়াশুনায় অমনোযোগী হবে।
৭) ছেলে-মেয়েদের হবি বা শখ গড়ে দিন। ওদের বই পড়তে, গান শুনতে,খেলাধুলা করতে বা কোনো কিছু সংগ্রহ করতে সেখান। এটা খুব কম বয়স থেকে না করলে ছেলে-মেয়েদের টেলিভিশন এডিক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৮) মূল্যবোধ গড়ে তুলুন। দয়া , ভালোবাসার মূল্য বোঝান। ওদেরকে নরম হতে শেখান ।
৯) কথা দিলে কথা রাখুন। মিথ্যা আশ্বাস দেবেন না। কাজে যাওয়ার এবং আসার একটি নির্দিষ্ট সময় রাখুন।
১০) বাস্তববাদী গল্প বলুন। রূপকথাও বলুন কিন্তু বলে দিন যে ওটা কল্পনা।
১১) সন্তানদের গায়ের রং বা চেহারা নিয়ে বাঁকা কথা বলবেন না।
১২) ছেলে-মেয়েদের সামনে তাদের মায়ের নামে সমালোচনা করবেন না। করলে আপনারই সম্মানহানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
যখন মানুষের
খুব প্রিয়
কেউ তাকে
অপছন্দ, অবহেলা
কিংবা ঘৃণা
করে তখন
প্রথম প্রথম
মানুষ খুব
কষ্ট পায়
এবং চায়
যে সব
ঠিক হয়ে
যাক ।
কিছুদিন পর
সে সেই
প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া
থাকতে শিখে
যায়। আর
অনেকদিন পরে
সে আগের
চেয়েও অনেকবেশী খুশি
থাকে যখন
সে বুঝতে
পারে যে
কারো ভালবাসায় জীবনে
অনেক কিছুই
আসে যায়
কিন্তু কারো
অবহেলায় সত্যিই
কিছু আসে
যায় না।” ― Humayun Ahmed
“আমি
কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন
বাঁচার জন্য
সিগারেটের আনন্দ
ছাড়ার জন্য
প্রস্তুত ছিলাম
না। আমি
ভেবে রেখেছিলাম ডাক্তারকে
বলব, আমি
একজন লেখক।
নিকোটিনের বিষে
আমার শরীরের
প্রতিটি কোষ
অভ্যস্ত। তোমরা
আমার চিকিৎসা
করো, কিন্তু
আমি সিগারেট
ছাড়ব না।
তাহলে কেন
ছাড়লাম? পুত্র
নিনিত হামাগুড়ি থেকে
হাঁটা শিখেছে।
বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত
করতে পারেনি।
দু-এক
পা হেঁটেই
ধুম করে
পড়ে যায়।
ব্যথা পেয়ে
কাঁদে। একদিন
বসে আছি।
টিভিতে খবর
দেখছি। হঠাৎ
চোখ গেল
নিনিতের দিকে।
সে হামাগুড়ি পজিশন
থেকে উঠে
দাঁড়িয়েছে। হেঁটে
হেঁটে এগিয়ে
আসছে আমার
দিকে। তার
ছোট্ট শরীর
টলমল করছে।
যেকোনো সময়
পড়ে যাবে
এমন অবস্থা।
আমি ডান
হাত তার
দিকে বাড়িয়ে দিতেই
সে হাঁটা
বাদ দিয়ে
দৌড়ে হাতের
ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে
বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে
হাসল। তখনই
মনে হলো,
এই ছেলেটির
সঙ্গে আরও
কিছুদিন আমার
থাকা উচিত।
সিগারেট ছাড়ার
সিদ্ধান্ত সেই
মুহূর্তেই নিয়ে
নিলাম।”― Humayun Ahmed
![]() |
গীতা |
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পিকেআর নেট ব্লগ - এর পক্ষ থেকে |
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment