Thursday 19 September 2019

How to Improve Your Motivational Skill, Series 36 (Prerana)

প্রেরণা সিরিজ - ৩ ,  PRERANA SERIES - 36    (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
                                                  আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে, করে দেবে। শুরু করছি আজকের বিষয় 
                                         নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।


Click Here to See My Website

                                      মনোযোগ সম্পর্কে দুটি মতামত প্রচলিত আছে। একটি মত হল ক্রিয়াত্মক এবং অপরটি হল জ্ঞানাত্মক । আসলে মনোযোগ ক্রিয়াত্মক এবং জ্ঞানাত্মক উভয়ই। তাই বলা যায়, মনোযোগ হল বৌদ্ধিক ক্রিয়া যা বস্তুতে নিবেশ করার ফলে বাস্তব জ্ঞান সুস্পষ্ট হয়। মনোযোগের দুটি দিক আছে যথা সদর্থক ও নজ্ঞর্থক । সদর্থক ক্রিয়ার ফলে আমরা কোনো একটি বিশেষ বিষয়ে মনোনিবেশ করি। আর নজ্ঞর্থক দিকের ক্রিয়ার ফলে আমরা অন্যান্য বস্তু থেকে মন সরিয়ে নিই।

অমনোযোগ হল কোনো এক সময় অকাম্য বস্তুর প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় বস্তুর প্রতি মনোযোগ না দেওয়া।

মনোযোগ সাধারণত তিন প্রকারের হয়--( ক ) ঐচ্ছিক  মনোযোগ ( খ ) অনৈচ্ছিক মনোযোগ ( গ ) ইচ্ছাবিরুদ্ধ মনোযোগ ।

                         ঐচ্ছিক মনোযোগের ক্ষেত্রে আমরা একটি সংবেদন বস্তুর প্রতি ইচ্ছাপূর্বক মনোনিবেশ করে থাকি। তাই এক্ষেত্রে একটা চেষ্টার প্রয়োজন হয় । অনৈচ্ছিক মনোযোগ , মন নিষ্ক্রিয় এবং নীরব দর্শকমাত্র। আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবাঞ্ছিত বিষয়ের প্রতি মনোযোগকে ইচ্ছাবিরুদ্ধ মনোযোগ বলে।

                              স্মৃতি দু ধরনের হয়। প্রথমটি হল ক্রমানুসারে এবং দ্বিতীয়টি হল যথেচ্ছ । যেটা শুনেছিলে  বা দেখেছিলে সেটাই হুবহু মনে রাখাকে ক্রমানুসারে স্মৃতি বলে আর অবাধ স্মরণশক্তির অধিকারীই হল যথেচ্ছ শক্তি। অর্থাৎ যথেচ্ছা স্মৃতি হল উচ্চস্তরে স্মৃতিশক্তির পরিচয়।
Sharat Rachana Samagra-1

                                 পরিচিত জনের নাম মনে রাখলে তারা প্রত্যেকে ভিতরে ভিতরে গৌরব বোধ করে আর সেই সঙ্গে তোমার স্মরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বার নার পড়া , মনে রাখার প্রকৃষ্ট পদ্ধতি। বার বার পড়লে , মুখস্ত হয়তো হয়ে যাবে, কিন্তু বেশিদিন তা মনে রাখা যাবে না। তাই মনোযোগ দিয়ে বুঝে বার বার পড়লেই সেটা দীর্ঘদিন স্মৃতিভাণ্ডারে জমা থাকবে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গেলে নিজের প্রতি সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কতকগুলি প্রক্রিয়া আছে, যা সবার জন্যই প্রযোজ্য। নিয়মিত খেলা, ব্যায়াম চর্চা, পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পড়াশোনার সময় নির্দিষ্ট করা, নিয়মিত ঘুমানো ইত্যাদি। স্মৃতি বা মনে রাখাটা নির্ভর করে ইচ্ছা, আগ্রহ ও প্রবণতার উপর। স্মৃতি কিন্তু বিদ্যার পুরোধা নয়, ইটা বিদ্যা অর্জনের একটি প্রধান ধাপ। স্মৃতি একটি সেতুর মতো যেটা সার্থক হতে পারে যদি অপর পারে কোনো কাজ থাকে।

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়” – Munier Choudhury
প্রত্যেকটা কঠিনতা, যার থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নেন | একটা ভূতের মতো হয়ে তা আপনার ঘুমে বাঁধা সৃষ্টি করবে” –Rabindranath Tagore
মন্দিরের গম্ভীর হতাশার থেকে বাইরে পালিয়ে, বাচ্চারা ধুলোয় গিয়ে বসে | ভগবান তাদের খেলা দেখেন এবং পূজারীকে ভুলে যান” –Rabindranath Tagore
দেশের যেই আত্মঅভিমান আমাদের শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেটা প্রশংসনীয় | কিন্তু যেই আত্মঅভিমান আমাদের পিছিয়ে দেয়, সেটা আমাদের শুধু খুঁটিতে বেঁধে রাখে, এটা ধীক্কার জনক” –Rabindranath Tagore
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।


No comments:

Post a Comment