Monday 9 September 2019

How to Improve Your Motivational Skill, Series 31 (Prerana)

প্রেরণা সিরিজ - ৩১ ,  PRERANA SERIES - 31 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
                                                  আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের  সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে, করে দেবে। শুরু করছি আজকের বিষয় 
                                         নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ  তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog   স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা  ভালোই  আছো  আর  সুস্থ আছো।





                               স্ট্রেস বলতে আমরা সহজ কথায় বুঝি জীবনে শারীরিক ও মানসিক চাপ। স্ট্রেস যে আগে ছিল না তা কিন্তু নয়। সভ্যতার আদি কাল থেকেই ছিল। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে স্ট্রেস নিরাময়ে বিভিন্ন ওষুধের উল্লেখ পাওয়া যায়। সারা বিশ্বে স্ট্রেস এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে ,হার্ট এট্যাক ,অবসাদ, হাই ব্লাড প্রেসার প্রায় মহামারীর আকার নিয়েছে। চিকিৎসকরা স্ট্রেসকে প্রক্সিকিলার নাম দিয়েছেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ আজ বর্তমানে প্রত্যেক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে | অতিরিক্ত মানসিক চাপের প্রভাবে বেশিরভাগ মানুষই তাদের জীবনকে ভালো করে উপভোগ করতে পারছে না, তারফলে হতাশার দরুন অনেকেই শেষে মৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছে |

                       টেনশনের মূল বাসস্থান হল মন। স্বার্থযুক্ত বিষয়াসক্ত মানেই সাধারণতঃ টেনশন হয়। এই ক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে হয় নিজের সঙ্গে নিজেকেই। খুব বেশি মাত্রায় রাগ, অত্যধিক স্বার্থপরতা বা আত্মকেন্দ্রিক আচরণ কিংবা অপ্রয়োজনে আবেগ দেখানো ---টেনশনের প্রাথমিক সংকেত। অযথা সব ব্যাপারে নাক গলানো উচিত নয়। বৈষয়িক চিন্তা থেকে আসক্তি , আসক্তি থেকে কামনা, কামনা প্রতিহত হলে আসে টেনশন। টেনশন দুরকমের হয়। মুক্ত টেনশনের কিছু অংশ অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারা যায়। টেনশনের ফলে নিম্নবর্ণিত উপসর্গগুলি হতে পারে।

১) স্মৃতিশক্তি ও মনঃসংযোগের অভাব হয়, বিচারক্ষমতা  হ্রাস পায়, সব সময়ে উদ্বেগ  ও হতাশায় ভোগে।
২) ব্যাথা, বেদনা,ডায়েরিয়া,হজম না হয়, বারবার প্রস্রাব, গা বমি ভাব, মাথা ঘোরা ,বুকে ব্যাথা, বরাবর সর্দি লাগা ইত্যাদি।
৩) বেশি বা কম খাওয়া , অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা , সব বিষয়ে দেরি করা, দায়িত্ববোধ না থাকা , নেশা করা, নখ কামড়ানো বা ওই জাতীয় অভ্যাস।
৪) যখন তখন মুড্ পরিবর্তন,অস্থিরতা, একাকীত্ববোধ, অবসাদ, বিষণ্ণতা ,মাথা গরম করা ও সামগ্রিকভাবে অসুখী বোধ করা।
POWER 

                 স্ট্রেসেরফলে নিম্নবর্ণিত রোগগুলি হতে পারে। হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, মুড্সুইং, মাথাধরা, ক্লান্তি,অবসাদ,মাইগ্রেন,অনিদ্রা, চর্মরোগ ইত্যাদি।

              স্ট্রেস থেকে বাঁচার উপায় হল রিল্যাক্সেশন এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি। স্ট্রেস থেকে মুক্তির সহজতম উপায় রোজ রিল্যাক্সেশন বা মেডিটেশন করা। রিল্যাক্সেশন বা মেডিটেশনের ফলে নিম্নে বর্ণিত উপযোগিতাগুলি লক্ষ্য করা যাবে।
১)শরীরের অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা কমায়, রেসপিরেটরি রেট কমায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, হার্টরেট কমায়।
২)শরীরের প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ায়, অজ্ঞ কমায়,ত্বককে শক্তিশালী করে।
৩)ঘাম কম হয়, মাথা ব্যাথা নির্মূল হয় , আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সহ্যশক্তি বাড়ে, অস্থিরতা দূর হয়, বিচারক্ষমতা  বৃদ্ধি পায়।
                  স্ট্রেসের মতো এক ভয়াবহ সমস্যার হাত থেকে মুক্ত হওয়ার কিন্তু অনেক সরল পদ্ধতিও আছে যেই গুলি তোমরা একদম ঠিকমতো মেনে চললে এইসব সমস্যার থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবে | তাই চলো এবার জেনে যাক সেসব সব পদ্ধতি গুলির সম্বন্ধে :-
             যদি সত্যিকারেই তুমি জীবনে স্ট্রেস ফ্রি হতে চাও তাহলে তোমাকে আজ থেকে না বলা শিখতে হবে | এই জিনিসটি বলতে তুমি যদি ভালোভাবে শিখে যাও তাহলে তোমার জীবনের ৫০% এর উপর স্ট্রেস একেবারে কমে যাবে | বেপারটা খুব সহজ মনে হলেও তা কিন্তু একদমই নয়, কারণ অনেকেই আছে যারা চট করে কাউকে না বলা পছন্দ করেনা | তারা ভাবে না বলার ফলে হয়তো সেই মানুষটা খুব কষ্ট পেতে পারে |সত্যি কথা বলতে হ্যাঁ, অনেকেই না শোনার পর তোমার উপর রেগে যাবে বা কষ্ট পাবে মন থেকে | কিন্তু বাস্তবে এইপ্রকারের মানুষকেই সকলে পছন্দ করে যারা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে |তাই বলে বন্ধুরা নিজের অফিসের বস আর তোমার টিচারকে মুখের উপর ওইভাবে না বোলোনা সেই ক্ষেত্রে তুমি একটা বড় সমস্যায় পরে যাবে |তাই তাদের তুমিনাশব্দটা ব্যবহার না করে এমন সুন্দর ভাবে নিজের মনের কথা তা বুঝিয়ে দেও যাতে তারা বুঝতে পারে যে তুমি সেই কাজটি করতে একেবারেই ইচ্ছুক নও|সবশেষে একটা কথাই বলে রাখি তোমায়,কখনোই কারোর জন্য এতটাও Available হয়ে যেওনা যাতে তুমি তোমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভুলে যাও;কথাটা মনে রেখো |

জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি  প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায়  তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক  মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে 
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে  অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই  পিকেআর নেট  ব্লগ - এর পক্ষ থেকে | 
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে।


No comments:

Post a Comment