Sunday 4 August 2019

How to Improve Your Motivational Skill, Prerana Series-4

প্রেরণা সিরিজ - ৪
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়
                                       আমরা কেউই আদর্শ পুরুষ বা নারী নই । জীবনের সব সমস্যা, প্রশ্ন  বা ধাঁধার  উত্তর আমাদের জানা নাই। এই জন্যই ভুল করি, ব্যর্থ  হই । জীবন পথে চলতে ঠোক্কর খেতেই হবে। ঠোক্কর খাওয়া থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই মনুষ্যত্ব , সেটাই বলিষ্ঠ ও সুস্থ মানসিকতা। এটাই তাদের ভবিষ্যতের নির্ভুল পথ দেখায়। ব্যর্থতা জীবনের অঙ্গ , তাতে সাফল্যের হানি হয় না। ব্যর্থতার পরই  সফলতা আসে। জিন্দেগীকে এই রীত হ্যায় , হারকে বাদ  জীত হ্যায়।
                                                  জয় একটি ঘটনা কিন্তু বিজয়ী হওয়া একটি মানসিক অবস্থা। আউট না দেওয়া সত্ত্বেও বিখ্যাত ক্রিকেটার  শচীন তেন্ডুলকর ক্রিজ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তার কারন শচীন নিজে বুঝতে  পেরেছিলেন যে তিনি আউট  হয়ে  গেছেন।  এক্ষেত্রে জয়   হয়েছিলো  বিপক্ষ   দলের   কিন্তু   বিজয়ী  হয়েছিলেন  শচীন তেন্ডুলকর নিজে। এই  কারণেই শচীন পারলেন  সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করতে।

ATTITUDE IS EVERYTHING 
                                          যে সব আদর্শ সাফল্যের পথ প্রকাশ করে, সেগুলি সম্পর্কে কেবল পড়লে বা  মুখস্ত করলেই  সাফল্য আসে না। সেগুলি যথাযথ  ভাবে হৃদয়ঙ্গম করলে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলেই সাফল্য আসে । ঈর্ষাজাত সমালোচনাকে ছদ্মবেশে প্রশংসা বলেই গ্রহণ করা উচিত । সমালোচক আসলে যেখানে উঠেছে  সেখানে পৌঁছাতে চায়। পারেনি বলেই সমালোচনা। যে গাছে বেশি ফল ফলে সেই গাছকেই পাথরের আঘাত সহজ করতে হয় বেশি।
                                         একটা জিনিষ মনে রাখতে হবে যে, আসলে আমরা বেঁচে থাকি ভালোবাসার জন্যই। কোনোও রেজাল্টের মূল্য এই ভালোবাসার চেয়ে বাসি নয়। অনর্থক চাপ দেওয়া ঠিক নয়, তবুও কোনো কোনো বাবা-মা নিজেদের অজান্তেই চাপ দিয়ে ফেলে। দোষ সর্বদা বাবা-মায়ের নয়, বরং দোষ সমাজের, শিক্ষা ব্যবস্থার । যে শিক্ষা ব্যবস্থা আশৈশব সৃষ্টিশীলতার বদলে , নিজস্ব ভাবনা চিন্তা গঠনের বদলে, বাধ্যতা, গতানুগতিকতা আর অনুকরণ শেখায়, যে সমাজ বড় বড় কথা বলেও শেষ পর্যন্ত সকলের জন্য সম্মানের শিক্ষা ব্যবস্থা করতে পারে না, অথচ নম্বরের ভিত্তিতে বেঁচে থাকার মূল্য নির্ধারণ করে, দোষ তাদের। দোষ সেইসব বিজ্ঞাপনের, পুরস্কারের নীতির , যা গুনগত বৈচিত্র্যকে  অবহেলা করে এমন ছবি তুলে ধরে যেন স্কুল বা কলেজের রেজাল্ট ভাল হওয়ার উপর জীবনের সবকিছু নির্ভর করছে। বাবা-মায়েরা এবং ছেলে-মেয়েরাও সহজে\সেই ভাবনার বাইরে যেতে পারে না।সমাজের দিশাহারা পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনচর্চার উদ্বেগ , অপূর্ণ আশার  দুখঃ, সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্পষ্টতা - সব মিলিয়ে বাবা-মায়েরা নিজেদের অজান্তেই সন্তানদের উপর চাপ দিয়ে ফেলে যা ভালোর থেকে ক্ষতিই করে বেশি।


মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা  এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।

No comments:

Post a Comment