প্রেরণা সিরিজ - ২৪ , PRERANA SERIES - 24 (Motivational & Inspirational)
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
আগেই বলে নিচ্ছি কেননা তোমরা পরে ভুলে যাবে বাকি অন্যান্যদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে শেয়ারটা মনে করে, করে দেবে। শুরু করছি আজকের বিষয় ।
নমস্কার বন্ধুরা আমি প্রদীপ তোমাদের সবাইকে আমার এই Pkrnet Blog এ স্বাগতম।আশা করি সবাই তোমরা ভালোই আছো আর সুস্থ আছো।
প্রত্যেক মানুষের মনেই টানাপোড়েন আছে। মানুষ হলেই মনে অশান্তি হবে। মনের টানাপোড়েনগুলো শুরু হয় যখন তুমি তাকে যেদিকে চালানা করতে চাইছো, সে সেদিকে যেতে চাইছে না অথবা সে যেদিকে যেতে চাইছে তুমি তাকে সেদিকে যেতে দিচ্ছো না। সম্পূর্ণ জ্ঞানী এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থার মাঝখানে যে সব মানুষ আছে তারা উপরোক্ত অশান্তির বিভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে মনকে ইন্দ্রিয়ের স্তর থেকে বুদ্ধির ও শিল্পের স্তরে এবং অবশেষে আধ্যাত্মিক স্তরে তুলতে। মানুষের চরিত্র গঠন করতে কল্পনার একটা ভূমিকা আছে। সব সময় সৎ চিন্তা এবং ধনাত্মক চিন্তা করতে হবে।
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
নিয়ত পরিণামশীল জলস্রোতের নাম 'শরীর ',আর নিয়ত পরিণামশীল চিন্তাস্রোতের নাম 'মন '। বৈষম্য দেখা না দিলে কোনো শক্তির বিকাশ হয় না। যখন বিপরীত শক্তিগুলি সাম্যবস্থায় থাকে তখন প্রকৃত পক্ষে কোনো শক্তি ক্রিয়াশীল থাকে না। একটা চিন্তা আর একটা চিন্তার সঙ্গে মিশে একটা নতুন চিন্তার সৃষ্টি করছে। ব্যাপারটা পার্টিকেল ফিজিক্সের মতো। একটা পার্টিকেল আর একটা পার্টিকেলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটা নুতন পার্টিকেল তৈরী করছে। এই প্রক্রিয়াটা একটানা চলছে। ওদের বশে আনতে নেই। ওদের নিপুণভাবে পরিচালনা করতে হয়।
ডাঃ আমেন মানব মনের বা মানবিকতার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরী করেছিলেন। তিনি মানসিকতা বা প্রবৃত্তিকে তিনভাগে ভাগ করেছিলেন। সেই তিনটি হল ---১) নেতিবাচক মানসিকতা বা প্রবৃত্তি ২) ইতিবাচক মানসিকতা বা প্রবৃত্তি এবং ৩) আত্মসর্বস্ব প্রবৃত্তি।
১) নেতিবাচক মানসিকতা বা প্রবৃত্তিগুলিকে ছোট ভাবা উচিত নোই। এগুলির প্রবৃত্তি অসীম।
যেকোনো যুদ্ধের মতো সভ্যতা বিধ্বংসী কাজের পিছনে কাজ করে এই প্রবৃত্তিগুলি। প্রতিশোধ স্পৃহা , লোভ, ঘৃণা , ভয়, হিংসা , কুসংস্কার ইত্যাদি এইরূপ প্রবৃত্তির উদাহরণ।
২) ইতিবাচক মানসিকতা বা প্রবৃত্তিই মানুষকে সভ্য করেছে এবং অন্যান্য পশু বা প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। এই শুভ ইতিবাচক মানসিকতা বা প্রবৃত্তিগুলিরও ধংসাত্মক ক্ষমতা আছে কিন্তু এদের প্রেরণার দিকটাই প্রধান। আশা, ভরসা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, স্নেহ, প্রশংসা, সেবা , সহযোগিতা ইত্যাদি এইরূপ প্রবৃত্তির উদাহরণ।
৩) আত্মসর্বস্ব প্রবৃত্তিগুলি মানুষের আচরণ এমনভাবে প্রভাবিত করে যা বাইরে থেকে উপলব্ধি করা যায় না। সংযম, আত্মসম্মানবোধ, অহংকার, কামনা, ক্ষমতালিপ্সা ইত্যাদি এইরূপ প্রবৃত্তির উদাহরণ।
![]() |
ABDUL KALAM |
প্রত্যেক মানুষের মনেই টানাপোড়েন আছে। মানুষ হলেই মনে অশান্তি হবে। মনের টানাপোড়েনগুলো শুরু হয় যখন তুমি তাকে যেদিকে চালানা করতে চাইছো, সে সেদিকে যেতে চাইছে না অথবা সে যেদিকে যেতে চাইছে তুমি তাকে সেদিকে যেতে দিচ্ছো না। সম্পূর্ণ জ্ঞানী এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞান অবস্থার মাঝখানে যে সব মানুষ আছে তারা উপরোক্ত অশান্তির বিভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। সব সময় চেষ্টা করতে হবে মনকে ইন্দ্রিয়ের স্তর থেকে বুদ্ধির ও শিল্পের স্তরে এবং অবশেষে আধ্যাত্মিক স্তরে তুলতে। মানুষের চরিত্র গঠন করতে কল্পনার একটা ভূমিকা আছে। সব সময় সৎ চিন্তা এবং ধনাত্মক চিন্তা করতে হবে।
যে কোনও পেশার শুরুতে, আমাদের ফোকাস অভ্যন্তরীণ পুরষ্কারগুলিতে হওয়া উচিত। আমাদের শেখা, স্ব-অনুসন্ধান এবং আনন্দের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। তুমি যখন অভ্যন্তরীণ পুরষ্কার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তোমার স্বপ্নগুলি অনুসরণ করো , তখন বাহ্যিক পুরষ্কারগুলিও তোমাকে অনুসরণ করবে। তুমি যা ভেবেছো , তার চেয়ে বেশি পাবে। ডেভিড ফ্রস্ট বলেছিলেন ,“আপনি যদি এটি চান,তবে সাফল্যের লক্ষ্য রাখবেন না, আপনি যা পছন্দ করেন এবং বিশ্বাস করেন কেবল তা করুন, দেখবেন এটি প্রাকৃতিকভাবে আসবে"।
জীবন একটা ভ্রমণ মাত্র আর কোনও ভ্ৰমণ যদি উপভোগ্য না হয় তাহলে গন্তব্যে পৌঁছানোর মজাটি মোটেও উপভোগ্য হবে না। তোমার স্বপ্ন বা তোমার লক্ষ্য বা এমনকি তোমার পেশা এমন কিছু হওয়া উচিত যা তোমাকে ভিতরে ভিতরে অনুপ্রাণিত করে। তাহলে জীবন মজাদার ও উপভোগ্য হবে। আমাদের সবার কমপক্ষে একটি জিনিস রয়েছে যা আমরা কেবল নিজের জন্য করতে পছন্দ করি। এটি কোনও খেলা হতে পারে , লেখালেখি হতে পারে বা এটি গান গাওয়াও হতে পারে। তুমি এটি করতে ভালোবাসো বলেই তুমি লিখতে পারো । তারা আমাদের কোনও বাহ্যিক পুরষ্কার না এনে দিলেও আমরা এই জিনিসগুলি করি এবং আন্তরিক উপভোগ্যতার উপলব্ধি করি ।
“সফলতা আমাদের পরিচয় দুনিয়ার কাছে করায় কিন্তু অসফলতা আমাদের দুনিয়ার পরিচয় করায়”।
কখনোই কারোর জন্য এতটাও Available হয়ে যেওনা যাতে তুমি তোমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ভুলে যাও
যদি সত্যিকারেই তুমি জীবনে স্ট্রেস ফ্রি হতে চাও তাহলে তোমাকে আজ থেকে না বলা শিখতে হবে | এই জিনিসটি বলতে তুমি যদি ভালোভাবে শিখে যাও তাহলে তোমার জীবনের ৫০% এর উপর স্ট্রেস একেবারে কমে যাবে |
সত্যি কথা বলতে , অনেকেই না শোনার পর তোমার উপর রেগে যাবে বা কষ্ট পাবে মন থেকে | কিন্তু বাস্তবে এইপ্রকারের মানুষকেই সকলে পছন্দ করে যারা স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে |
জীবনে অনুপ্রেরণার গুরুত্ব যে কতটা, তা আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই জানি| প্রত্যেক মানুষই চায় তারা যেন সর্বদা অনুপ্রাণিত থাকেন |
এই অনুপ্রেরণা মূলক বিচার গুলিকে বাস্তব জীবনে ঠিক মত মেনে চললে যে কোনো মানুষের জীবন অনয়াসেই বদলে যেতে পারে
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও |তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |
No comments:
Post a Comment