প্রেরণা সিরিজ - ৫
অবসাদ, বিষাদ, বাবা-মায়ের বকাঝকা -- সবই মনকে গ্রাস করতে পারে , কিন্তু এটা তোমাদের দায়িত্ব থাকে তোমাদের বাবা-মায়ের কাছে নিজের কষ্টের কথা বলার। সম্পর্ক , ভালোবাসা -- এগুলি সবই দ্বিমুখী । ভালোবাসা প্রকাশ করার ও চাওয়ার দায়িত্ব দুজনেরই। মনে রাখতে হবে সবার উপর মানুষ সত্য আর মানুষের উপর জীবন সত্য। তাই কখনো জীবন থেকে পালিয়ে যাবার চিন্তাও করবে না। বরং চ্যালেঞ্জ জানাও জীবনকে যে তুমি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলেও জীবন থেকে পালাবে না এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে জীবনযুদ্ধে নিজেকে নিয়োগ করবে।একটা না একটা পথ পাবেই পাবে। তাই বলছি,"রুখে না তু , বুজে না তু, সাদা চলে, রুখে না তু । মনে রাখবে যে তুমি ফাইটার --- ফাইট, ফাইট এবং আবার ফাইট।
আজ যেটাকে বেঠিক মনে হচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটাই একদিন সঠিক হয়ে যাবে। আসলে আমরা বেচেঁ থাকি ভালোবাসার জন্যই। শরীর বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য দরকার আর মন বেঁচে থাকার জন্য দরকার ভালোবাসা। বাবা-মা হিসাবে প্রত্যেক বাবা-মায়ের একটা প্রাথর্না হোক -- "আমার সন্তান যেন ভালোবাসা পায়, সেই ভালোবাসাকে যেন গ্রহণ করে আর অন্যকে ভালোবাসার ক্ষমতা রাখে"। কোনো রেজাল্টের মূল্য এই চাওয়ার থেকে বেশি নয়।
আমরা অনেক সময়ই "শক্ত" হতে বলি।মনে রাখা দরকার যে "শক্ত" হওয়া মানে কিছুটা নির্মম হওয়াও বটে। সেটা সুখের নয়, কষ্ঠের । কিন্তু মাঝে মাঝে সেই কষ্টটা মেনে নিতে হয় নিজের এবং অন্যের ভালোর জন্যই।তোমার মা-বাবার জীবন আর তোমার জীবন-- এই দুটো বা তিনটে জীবনের মধ্যে নিশ্চয়ই একটা গভীর সংযোগ আছে, আমাদের পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্কগুলো তো এই কারণেই মূল্যবান।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে উপরের ডানদিকের কর্নারে YouTube লিঙ্ক অথবা এখানে Pkrnet এই লিঙ্কটির উপর ক্লিক করুন।
লেখক – প্রদীপ কুমার রায়।
পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ার পরে, আবেগের এই পুরো ইতিহাসটি মনের মধ্যে পুনরাবৃত্ত হতে পারে। এর সঙ্গে জড়িয়ে যায় সম্পর্কের টানা পোড়েন , পারিবারিক সমস্যা , একাকিত্বের কষ্ট । আমরা যে বয়সেই যে ঘটনার ভেতরে থাকি,সেটাকেই বড় মনে হয়। চল্লিশ বছর বয়সে বোঝা যায় যে কুড়ি বছরের আবেগগুলির তত মূল্য ছিলো না। আজকের খারাপ রেজাল্ট , আজকের দিনে যত গ্লানি এনে দিচ্ছে আগামী দিনে তা দেবে না। বরং এই পর্যায় থেকে সত্যই যদি উঠে দাঁড়ানো যায়, তাহলে তার গৌরব হবে বেশি । যদি রেজাল্ট ভালো না হয় তাহলেও খোলা আছে অন্যপথ। গতানুগতিক ধারায় চাকরি পাবার পথও স্কুল বা কলেজের রেজাল্টের ভিত্তিতে বন্ধ হয় না। নানা ধরনের বৃত্তিমূলক কাজ শেখারও অবকাশ আছে , আছে ব্যবসার পরিসর।তাই একটা রেজাল্ট জীবনের , সমাজের সব দরজা বন্ধ করে দেয় না ।
![]() |
NET SET |
আজ যেটাকে বেঠিক মনে হচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটাই একদিন সঠিক হয়ে যাবে। আসলে আমরা বেচেঁ থাকি ভালোবাসার জন্যই। শরীর বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য দরকার আর মন বেঁচে থাকার জন্য দরকার ভালোবাসা। বাবা-মা হিসাবে প্রত্যেক বাবা-মায়ের একটা প্রাথর্না হোক -- "আমার সন্তান যেন ভালোবাসা পায়, সেই ভালোবাসাকে যেন গ্রহণ করে আর অন্যকে ভালোবাসার ক্ষমতা রাখে"। কোনো রেজাল্টের মূল্য এই চাওয়ার থেকে বেশি নয়।
আমরা অনেক সময়ই "শক্ত" হতে বলি।মনে রাখা দরকার যে "শক্ত" হওয়া মানে কিছুটা নির্মম হওয়াও বটে। সেটা সুখের নয়, কষ্ঠের । কিন্তু মাঝে মাঝে সেই কষ্টটা মেনে নিতে হয় নিজের এবং অন্যের ভালোর জন্যই।তোমার মা-বাবার জীবন আর তোমার জীবন-- এই দুটো বা তিনটে জীবনের মধ্যে নিশ্চয়ই একটা গভীর সংযোগ আছে, আমাদের পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্কগুলো তো এই কারণেই মূল্যবান।
No comments:
Post a Comment